AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Coal Case: ‘এতদিন ধরে ঘুমাচ্ছিলেন?’ বেআইনি কয়লা মামলায় ইসিএল-কে তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

Calcutta High Court on Illegal Coal Mining Case: বেআইনি কয়লা খাদান (Illegal Coal Mining) মামলায় ইসিএল (ECL)-কেই তীব্র ভর্ৎসনা করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ২০১৩ সালে দায়ের হওয়া এক জনস্বার্থ (PIL) মামলার শুনানিতে এদিন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল (Rajesh Bindal)- এর প্রশ্ন, 'এতদিন ধরে কি ঘুমাচ্ছিলেন?

Coal Case: 'এতদিন ধরে ঘুমাচ্ছিলেন?' বেআইনি কয়লা মামলায় ইসিএল-কে তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের
অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। ফাইল চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Sep 22, 2021 | 2:24 PM
Share

কলকাতা: বেআইনি কয়লা খাদান (Illegal Coal Mining) মামলায় ইসিএল (ECL)-কেই তীব্র ভর্ৎসনা করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ২০১৩ সালে দায়ের হওয়া এক জনস্বার্থ (PIL) মামলার শুনানিতে এদিন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল (Rajesh Bindal)- এর প্রশ্ন, ‘এতদিন ধরে কি ঘুমাচ্ছিলেন? কেন পদক্ষেপ হয়নি? কেন আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেননি?’ একই সঙ্গে এদিন সংশ্লিষ্ট মামলায় দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনারকে ১১ নভেম্বর আদালতে ভার্চুয়ালি হাজির থাকতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

উল্লেখ্য, রাজ্যে অবৈধ কয়লা খাদান, অবৈধ কয়লা সরবরাহ বন্ধের দাবি জানিয়ে গত ২০১৩ সালে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। আদালতে জনস্বার্থ মামলাকারীর অভিযোগ, বেআইনি কয়লা খাদান ও কয়লা পাচার অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এই মামলায় প্রকৃত অবস্থা জানাতে এদিন বর্ধমান রেঞ্জের আইজি ভরত লাল মিনা ভার্চুয়ালি আদালতে হাজির ছিলেন। তিনি অবশ্য জানিয়ে দেন যে এই বিষয়টি তার এলাকায় আসে না। বীরভূম ও হুগলি জেলা নিয়ে কথা বলা হচ্ছে, সেগুলি তাঁর এলাকা নন। এদিকে ইসিএল-এর তরফে আইনজীবী শিবশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআই দিয়ে সংশ্লিষ্ট মামলার দাবি জানান। যার প্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ভর্ৎসনার মুখে পড়ে ইসিএল। তাঁর মন্তব্য, ‘বেআইনি কয়লা খাদান মামলা ২০১৩ সালে দায়ের হয়। এতদিন ধরে কি ঘুমাচ্ছিলেন? কেন পদক্ষেপ হয়নি? কেন আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেননি?’

এদিন অবশ্য বেআইনি কয়লা খাদান নিয়ে একটি সিল করা খামে রিপোর্ট দিয়েছে সিবিআই। রাজ্যের তরফেও রিপোর্ট পেশ করা হয়। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনারকে ১১ নভেম্বর আদালতে ভার্চুয়ালি হাজির থাকতে হবে নির্দেশ দেয় আদালত।

প্রসঙ্গত, চলতি বছর কয়লা উত্তোলন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে সিবিআই। এই জন্য ৩০ জন সিবিআই অফিসারকে নিয়ে গঠন করা হয় ‘স্পেশাল ৩০’ টিম। রানিগঞ্জ, জামুরিয়া, আসানসোলের বিভিন্ন খাদানে কীভাবে কয়লা তোলা হয় তা সরজমিনে ক্ষতি দেখেছে সিবিআই। অবৈধভাবে কত কয়লা পাচার করা হয়েছে, সেই হদিশ পেতেই তদন্ত শুরু করে সিবিআই। তদন্তে নেমে সিবিআই জানায় এ রাজ্যের বিভিন্ন খনি থেকে বেআইনিভাবে কয়লা তুলে উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে পাচার করা হত।

এর আগে কয়লাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের কোনও প্রভাব পড়েছে কিনা ইসিএল-কে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছিল সিবিআই। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে ইসিএল রিপোর্টে জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হওয়ার পর অনেকটাই বেড়েছে কয়লা সরবরাহ। কয়েক মাস আগে ইসিএল জানায়, ৪৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭৩ শতাংশ হয়েছে কয়লা সরবরাহ। বেড়েছে কয়লা পাঠানোর পরিমাণও। ইসিএল জানিয়েছে, ৬৩ শতাংশ থেকে বেড়ে তা হয়েছে ৯০ শতাংশ। একইসঙ্গে ওই রিপোর্টে ইসিএল জানিয়েছে, কয়লা বুকিং বেড়েছে ৪৭৮ কোটি টাকার।

আরও পড়ুন: Primary Teachers: TET ছাড়াই চাকরি! প্রাথমিকের নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিল সংসদ