কলকাতা: ‘মঙ্গলবার বেলা দেড়টা, মাস্টারদা সূর্য সেন…।’ রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বারবার এই কথা বলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বলেছেন, মাস্টারদার পায়ের নিচে দাঁড়িয়েই সব জবাব দেবেন মঙ্গলবার। এদিনই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা দেবেন তিনি। আর তারপর…। কোর্টচত্বরে মাস্টারদা সূর্য সেনের মূর্তির নিচে দাঁড়িয়েই জানাবেন পরের পদক্ষেপ। কিন্তু মাস্টারদা সূর্যসেনের মূর্তির নিচে দাঁড়িয়ে কেন?
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রবিবার সাংবাদিকদের নিজেই দিয়েছেন সেই উত্তর। বিচারপতি বলেন, “মাস্টারদার ফাঁসির যে অর্ডার হয়েছিল, তা এক সময় সই করেছিলেন হাইকোর্টের জজ। তিনি ব্রিটিশ ছিলেন। হাইকোর্ট ভুল করেছিল, একজন স্বাধীনতা সংগ্রামীকে ফাঁসি দেওয়া উচিত হয়নি। মাস্টারদার অবশ্য ফাঁসি হয়নি, ওনাকে আগেই মেরে ফেলা হয়েছিল বলে জানা যায়। যার স্বপক্ষে ডক্টর রাধাবিনোদ পাল টোকিও ট্রায়ালে বলেছিলেন, মাতৃভূমিকে রক্ষা করা কোনও ক্রাইম নয়। যে কারণে ডক্টর রাধাবিনোদ পালের মূর্তি আছে টোকিওতে। রাস্তা আছে তাঁর নামে জাপানে। একজন বাঙালি মাথা উঁচু করে সে কথা বলে এসেছিলেন। আমি সে জন্যই মাস্টারদাকে প্রণাম জানিয়ে, মাস্টারদার পায়ের তলায় দাঁড়িয়ে এই কথাগুলি বলতে চাই।”
এদিন সাংবাদিকদের বিচারপতি যখন এ কথাগুলি বলছিলেন, এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, তার মানে তাঁর এই বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পিছনে কি জাতীয়তাবাদই প্রেরণা? বিচারপতি বলেন, “এর কোনও প্রতিক্রিয়া দেব না।” তবে এদিন তিনি বারবারই বলেছেন, সমস্ত প্রশ্নের জবাব তিনি দেবেন মঙ্গলবার ৫ জানুয়ারি।