কলকাতা: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva Bharati University) উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে অবিলম্বে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা উচিত, পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। বিশ্বভারতীর পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক ও বিজ্ঞানী মানস মাইতির এক মামলায় এই মন্তব্য করেন বিচারপতি। অধ্যাপক মানস মাইতি সার্নের (CERN) একটি প্রোজেক্টের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। ২০০৫ সাল থেকে ওই প্রোজেক্টের সঙ্গে যুক্ত তিনি। এদিকে ২০২১ সালে বিশ্বভারতীর একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী তাঁকে শোকজ় করেছিলেন এবং শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তোলেন। ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ২০২২ সালে সার্নকে একটি চিঠি লিখেছিলেন বিদ্যুৎবাবু। বিদ্যুৎবাবুর বক্তব্য ছিল, ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। তাই ওই অধ্যাপককে সার্নের প্রোজেক্ট থেকে সরানোর দাবি জানিয়েছিলেন উপাচার্য।
ইতিমধ্যে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক মানস মাইতি সার্নের যে প্রোজেক্টে কাজ করতেন, সেটি কর্তৃপক্ষ বাতিল করেছে। এমন অবস্থায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের এজলাসে সেই মামলা ওঠে। আজ মামলার শুনানির সময় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে অবিলম্বে অপসারণ করা উচিত। যদিও আলাদা করে কোনও নির্দেশ দেননি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শুধুমাত্র ওই অধ্যাপক যাতে সংশ্লিষ্ট প্রোজেক্টে কাজ করতে পারেন, সেই মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ এদিন নির্দেশ দিয়েছে, আগামী সাতদিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, যাতে ওই অধ্যাপক মানস মাইতি ফের সার্নের প্রোজেক্টে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
এদিকে বিচারপতির এদিনে পর্যবেক্ষণের বিষয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও, তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
আবার বিচারপতির পর্যবেক্ষণ নিয়ে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে খোঁচা দিয়েছেন বিজেপির জাতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়য়ের মতো মানুষও প্রকাশ্যে বলছেন বিশ্বভারতীর VC-কে সরানো উচিত। আর উপাচার্য পৌষ-মেলা, বসন্ত উৎসব বন্ধ করে অতি-বিজেপি সেজে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দিল্লিতে যদি মেয়াদকালটাকে একটু বাড়ানো যায়।
কলকাতা: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva Bharati University) উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে অবিলম্বে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা উচিত, পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। বিশ্বভারতীর পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক ও বিজ্ঞানী মানস মাইতির এক মামলায় এই মন্তব্য করেন বিচারপতি। অধ্যাপক মানস মাইতি সার্নের (CERN) একটি প্রোজেক্টের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। ২০০৫ সাল থেকে ওই প্রোজেক্টের সঙ্গে যুক্ত তিনি। এদিকে ২০২১ সালে বিশ্বভারতীর একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী তাঁকে শোকজ় করেছিলেন এবং শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তোলেন। ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ২০২২ সালে সার্নকে একটি চিঠি লিখেছিলেন বিদ্যুৎবাবু। বিদ্যুৎবাবুর বক্তব্য ছিল, ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। তাই ওই অধ্যাপককে সার্নের প্রোজেক্ট থেকে সরানোর দাবি জানিয়েছিলেন উপাচার্য।
ইতিমধ্যে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক মানস মাইতি সার্নের যে প্রোজেক্টে কাজ করতেন, সেটি কর্তৃপক্ষ বাতিল করেছে। এমন অবস্থায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের এজলাসে সেই মামলা ওঠে। আজ মামলার শুনানির সময় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে অবিলম্বে অপসারণ করা উচিত। যদিও আলাদা করে কোনও নির্দেশ দেননি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শুধুমাত্র ওই অধ্যাপক যাতে সংশ্লিষ্ট প্রোজেক্টে কাজ করতে পারেন, সেই মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ এদিন নির্দেশ দিয়েছে, আগামী সাতদিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, যাতে ওই অধ্যাপক মানস মাইতি ফের সার্নের প্রোজেক্টে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
এদিকে বিচারপতির এদিনে পর্যবেক্ষণের বিষয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও, তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
আবার বিচারপতির পর্যবেক্ষণ নিয়ে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে খোঁচা দিয়েছেন বিজেপির জাতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়য়ের মতো মানুষও প্রকাশ্যে বলছেন বিশ্বভারতীর VC-কে সরানো উচিত। আর উপাচার্য পৌষ-মেলা, বসন্ত উৎসব বন্ধ করে অতি-বিজেপি সেজে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দিল্লিতে যদি মেয়াদকালটাকে একটু বাড়ানো যায়।