Calcutta High Court: একই দিনে দুটি দুর্নীতি মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু! কেন?

Calcutta High Court: প্রথম মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ হিসেবে রাজ্যের ভূমিকাকে তুলে ধরেছেন তিনি। এই ইস্যুতে রাজ্যের ভূমিকায় হতাশ বিচারপতি। তাই কার্যত বিরক্তি প্রকাশ করেছেন বিচারপতি। এদিন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত সার্কিট বেঞ্চের আইন সামনে আনেন।

Calcutta High Court: একই দিনে দুটি দুর্নীতি মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু! কেন?
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Feb 26, 2025 | 3:32 PM

কলকাতা: একই দিনে দুটি দুর্নীতি মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। জিটিএ নিয়োগে দুর্নীতি মামলা এবং বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের কোর ও বাফার এলাকায় থাকা রিসর্ট, হোটেল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে বন্ধের মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।৷ দুটি মামলাতেই রাজ্যের আর্জি মেনে হাইকোর্টের বদলে সার্কিট বেঞ্চে মামলাগুলির যুক্তি মেনে অব্যবহতি নেন বিচারপতি। আর তার পরেই প্রশ্ন উঠছে এতদিন পর হঠাৎ রাজ্য এই মামলা হাইকোর্ট থেকে কেন সরানোর দাবি জানাল?

প্রথম মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ হিসেবে রাজ্যের ভূমিকাকে তুলে ধরেছেন তিনি। এই ইস্যুতে রাজ্যের ভূমিকায় হতাশ বিচারপতি। তাই কার্যত বিরক্তি প্রকাশ করেছেন বিচারপতি। এদিন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত সার্কিট বেঞ্চের আইন সামনে আনেন। তাঁর যুক্তি এই মামলা শোনার এক্তিয়ার এই আদালতের নেই। কিন্তু গতবছরের ৩০ এপ্রিল থেকে ২৫ বার শুনানির পর কেন এই আর্জি তার ব্যখ্যা রাজ্য করেনি।

এই দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, বিনয় তামাংয়ের। তাঁদেরকে নোটিস পাঠানো হয়নি কেন, সে বিষয়ে বিচারপতির প্রশ্ন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এতদিনে কী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? প্রশ্নেরও উত্তর মেলেনি।

এর পর দুপুরে বক্সা টাইগার বাফার জোনের মামলায় রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। একই আইন তিনিও দেখান। বিচারপতি এরপর ওই মামলা থেকেও সরে দাঁড়ান। এই মামলা থেকে সড়ে দাঁড়ানোর বিরোধিতা করে পরিবেশবিদ সুভাস দত্ত বলেন, “জায়গা নয় বিচারপতি গুরুত্বপূর্ণ। সার্কিট বেঞ্চে এই মামলার কী ভবিষ্যৎ হবে?”

তবে জিটিএ মামলায় রাজ্যের ভূমিকার পর রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন তৃণাঙ্কুরের সঙ্গে সরকারের পদস্থ আইনজীবীর সম্পর্কের কারণেই কী রাজ্য সুর নরম করল?