Calcutta High Court: খুনের মামলায় মোবাইলের ছবি ডিলিট করে দেয় পুলিশ! এসপি-কে তদন্তভার দিল হাইকোর্ট

Shrabanti Saha | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Sep 08, 2023 | 3:12 PM

Calcutta High Court: প্রায় ১০ বছর আগে ঘটনার সূত্রপাত। পারিবারিক ইট ভাটার দখলকে কেন্দ্র করে খুনের ঘটনা ঘটে। বড় ভাইয়ের ছেলে নিশীথ দাসকে প্রকাশ্যে বাজারের মধ্যে পিটিয়ে গুলি করে দুষ্কৃতীরা খুন বলে অভিযোগ ছিল।

Calcutta High Court: খুনের মামলায় মোবাইলের ছবি ডিলিট করে দেয় পুলিশ! এসপি-কে তদন্তভার দিল হাইকোর্ট
কলকাতা হাইকোর্ট
Image Credit source: নিজস্ব চিত্র

Follow Us

কলকাতা: খুনে অভিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও প্রকাশ্যে সাংবাদিক বৈঠক করছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। পুলিশের নিরাপত্তাতেই কি এমনটা করা হচ্ছে? প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। মুর্শিদাবাদের সুতি থানার ঘটনা নিয়ে মামলা হয় হাইকোর্টে। অভিযোগ উঠেছে, খুনের অভিযোগ ওঠার পর থেকে হুমকির শিকার হচ্ছেন মামলাকারী। আতঙ্কে ঘরে পর্যন্ত ঢুকতে পারছেন না বলে দাবি করে মামলা হয়েছে। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, “নিশ্চয়ই ব্লক সভাপতি গ্রেফতার হননি। আবার তিনি পলাতকও নন। তিনি নাকি এর মধ্যে প্রেস কনফারেন্স করেছেন। সেটাও নিশ্চয়ই পুলিশের নিরাপত্তায়।” সুতি থানার বদলে মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপারকে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে।

প্রায় ১০ বছর আগে ঘটনার সূত্রপাত। পারিবারিক ইট ভাটার দখলকে কেন্দ্র করে খুনের ঘটনা ঘটে। বড় ভাইয়ের ছেলে নিশীথ দাসকে প্রকাশ্যে বাজারের মধ্যে পিটিয়ে গুলি করে দুষ্কৃতীরা খুন বলে অভিযোগ ছিল। উপস্থিত অনেকেই মোবাইলে সেই ঘটনার ছবি তুলেছিলেন। স্থানীয় একজন সাংবাদিকের ক্যামেরাতেও ছিল তেমন কিছু ছবি। স্থানীয় চ্যানেলে ওই সাংবাদিক খবরও প্রকাশ করেন। অভিযোগ, তারপর থেকে তিনি ও মৃতের এক আত্মীয় হুমকির জেরে বাড়িতে ঢুকতে পারছেন না। পুলিশ সেইসব মোবাইলের ছবি ডিলিট করে মোবাইল ফরম্যাট করে ফেরত দেয় বলেও অভিযোগ। এ ক্ষেত্রে তথ্য প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ সুতি থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। মৃতের ভাগ্নে সঞ্জু দাস ও ওই সাংবাদিক রাজু শেখ মামলা করেন।

হাইকোর্টের নির্দেশ, সুতি থানার ওসিকে শুনানিতে ব্যক্তিগতভাবে হাজির থাকতে হবে আদালতে। মামলাকারীদের সুতি থানার ওসি নিজে নিরাপত্তা দিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেবেন বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতের কড়া নির্দেশ, তদন্তকারী অফিসার যাতে এই ঘটনায় আর এক পাও না এগোন। কেস ডায়েরি সহ যাবতীয় নথি এসপি-কে পাঠাতে হবে। তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে আদালতে জানাবেন পুলিশ সুপার।

Next Article