Calcutta High Court: ‘এর পিছনে কার পরিকল্পনা?’, মাম্পির মামলায় খোদ বিচারকের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি সেনগুপ্ত

Shrabanti Saha | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

May 17, 2024 | 3:18 PM

Calcutta High Court: বিচারপতি বলেন, 'পুলিশের কথা না হয় ছেড়েই দিলাম, বিচারক কি করছিলেন?' গ্রেফতারির ক্ষেত্রে ১৯৫ এ ধারা যুক্ত করে দেওয়া শীর্ষ আদালতের অবমাননার সামিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মা

Calcutta High Court: এর পিছনে কার পরিকল্পনা?, মাম্পির মামলায় খোদ বিচারকের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি সেনগুপ্ত
বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত
Image Credit source: GFX- TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: নোটিস দেওয়া হয়েছিল জামিন-যোগ্য ধারায়। পরের দিন সেই মাম্পি দাস যখন আদালতে গেলেন, তখন তাঁর বিরুদ্ধে দেওয়া হল জামিন-অযোগ্য ধারা। সেই ধারাতেই জেল হেফাজতেও পাঠানো হয় মাম্পিকে। পুরো বিষয়টা শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। শুধু পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নয়, নিম্ন আদালতের বিচারকের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। এভাবে নতুন ধারা যুক্ত করার পরিকল্পনা কার সেই প্রশ্নও তুললেন তিনি। এদিন একের পর এক কড়া মন্তব্য করলেন বিচারপতি। হাইকোর্টের বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে জামিনও দেওয়া হয়েছে সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী মাম্পি দাসকে।

এদিন কী বললেন বিচারপতি সেনগুপ্ত?

বিচারপতি বলেন, ‘পুলিশের কথা না হয় ছেড়েই দিলাম, বিচারক কি করছিলেন?’ গ্রেফতারির ক্ষেত্রে ১৯৫ এ ধারা যুক্ত করে দেওয়া শীর্ষ আদালতের অবমাননার সামিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মাম্পির আইনজীবী বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় আছে, এই ধরনের মামলায় ১৯৫ এ ধারা যুক্ত করা যায় না। উল্লেখ্য, ১৯৫ এ হল হুমকির মামলা। একটি জামিন অযোগ্য একটি ধারা।

বিচারপতি আরও প্রশ্ন করেন, ‘জামিন অযোগ্য ধারা এফআইআর-এ ছিল না, পরে কেন যোগ হল? এর পিছনে কার মাথা? কার পরিকল্পনা?’ ম্যাজিস্ট্রেটের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিচারপতি বলেন, ‘ম্যাজিস্ট্রেট কী করছেন? ম্যাজিস্ট্রেটের ভূমিকা দুর্ভাগ্যজনক।’

বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এই প্রসঙ্গে বলেন, “এ ক্ষেত্রে বিচারপতি দেখেছেন যে পদ্ধতিতে আবেদন শোনা উচিত, সেটা শোনা হয়নি। অভিযুক্ত আদালতে হাজির হলে, যা করা উচিত, তা হয়নি।” এই প্রসঙ্গেই তিনি উল্লেখ করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কথা। বলেন, “প্রধান বিচারপতি বলেছেন নিম্ন আদালতে বিচারকরা জামিন দিতে ভয় পাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে বিচারপতি সেনগুপ্ত তাই ঠিকই বলেছেন।”

Next Article