কলকাতা : বিধানসভার অধ্যক্ষ ও বিরোধী দলের মধ্যে সমস্যা দ্রুত সমাধান করার পরামর্শ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ সাত বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছিল বিধানসভায়। সেই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয় বিজেপি, মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার ওই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা জানিয়েছেন, আদালতে কিছু সমস্যা হলে সেটা দেখার দায়িত্ব যেমন বিচারপতিদের, তেমনই বিধানসভায় কোনও সমস্যা হলে, তা নিরসন করার দায়িত্ব স্পিকারের। এ ক্ষেত্রেও তাই স্পিকারকেই সমাধান করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। বিরোধী দলের নেতাদের কথা শুনতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।
বিধানসভার মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতে এবং বিধানসভার অধিবেশন সুষ্ঠ ভাবে চালানোর জন্য স্পিকার এবং বিরোধী দলকে সমস্যা দ্রুত সমাধান করার পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি। বিরোধ মিটিয়ে বিধানসভার আইন অনুযায়ী বিরোধী দলের সদস্যরা সংযত হয়ে তাঁদের বক্তব্য যদি পেশ করেন, তাহলে তাতে কোনও সমস্যা থাকার কথা নয় বলেও মন্তব্য করেছেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, নরহরি মাহাতো, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, মিহির গোস্বামী, মনোজ টিজ্ঞাকে সাসপেন্ড করেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ব্যাপারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলে অবিলম্বে তাঁদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে স্পিকারকে পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি। দ্রুত সমস্যা সমাধানের বিষয়ে আশ্বস্থ করেন রাজ্যের এজি।
বিধানসভার সাত বিধায়ককে সাসপেন্ড মামলায় আগেই অধ্যক্ষের হলফনামা তলব করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত ২৮ মার্চ সমস্যার সূত্রপাত। বাজেট অধিবেশনের শেষ দিন তুমুল গন্ডগোল হয় বিধানসভায়। বিজেপি ও তৃণমূল বিধায়কদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। একে অপরের জামা ধরে টানাটানি পর্যন্ত করেন। বিধানসভা থেকে পাঁচজন বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয় সে দিন। অন্যদিকে ৭ মার্চ অধিবেশন শুরুর দিন রাজ্যপালের ভাষণের সময় গোলমালের জেরে দুই বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়। অর্থাৎ বিজেপির মোট সাত বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এই নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশনের আর বেশি দিন বাকি নেই। তার আগেই সমস্যা সমাধানের কথা বলল হাইকোর্ট।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় বলেছেন, ‘বিরোধীদের বলব, হাউজের গরিমা বজায় রেখে এই অধিবেশন চলাকালীন কার্যপ্রণালীতে অংশগ্রহণ করুন।’