কলকাতা: সিঙ্গল বেঞ্চ থেকে ডিভিশন বেঞ্চ পর্যন্ত গড়াল মামলা। অবশেষে রক্তদান শিবির ঘিরে কাটল আইনি জট। শিবিরের আয়োজনে আর কোনও বাধা নেই। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চেই মিলেছিল রক্তদান শিবিরের অনুমতি। সেই নির্দেশে হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি হীরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল শুনানি।
গত ১৩ জুন শিক্ষক সংগঠনের তরফে সংসদের কাছে রক্তদান শিবিরের আবেদন জানানো হয়। সংসদের একটি হলঘর চাওয়া হয়েছিল রক্তদান শিবিরের জন্য। গত ১৬ জুলাই সংসদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে বিশেষ কারণবশত ওই হলঘর কাউকে দেওয়া যাবে না। ১৯ জুলাই থেকে ওই হলঘর বন্ধ রাখা হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়।
সিঙ্গল বেঞ্চ ওই শিক্ষক সংগঠন মামলা করলে আদালতে সংসদ জানিয়েছিল যে ওই হলঘর এই মুহূর্তে রেকর্ড রুম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এই হলঘর রুরাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিকে দেওয়া হবে। মামলাকারী সংগঠনের দাবি, আগামী ১৫ জুলাই ওখানে তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের প্রস্তুতি কর্মসূচি হয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের রক্তদান শিবিরে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করে মামলাকারী সংগঠন।
বিচারপতি অনুমতি দেন, আগামী ২৮ জুলাই সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত সর্বাধিক ১০০ জন ব্যক্তিকে নিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের হলঘরে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা যাবে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় সংসদ।
অন্যদিকে, শিক্ষক যেহেতু এই অনুষ্ঠান শিক্ষক সংগঠন করছে এবং প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ হলঘর দিচ্ছে না বলে অভিযোগ, তাই এই মামলা বিচারপতি সিনহার এজলাসে করা হয়েছিল।
যেদিন এই মামলার শুনানি বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে হয় সেদিন বিচারপতি সিনহার বিচার্য বিষয়ের মধ্যে এটি ছিল না। সংসদের দাবি ছিল, এটা শিক্ষা সংক্রান্ত মামলা নয়, ফলে এই মামলার বিচার বিচারপতি অমৃতা সিনহা করতে পারেন না। কিন্তু মামলাকারী সংগঠনের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, এটি শিক্ষা সংক্রান্ত মামলা তাই বিচারপতি সিনহার বেঞ্চেই বিচার হবে। মামলাকারী সংগঠনের আইনজীবীকে প্রশ্ন বিচারপতি হীরন্ময় ভট্টাচার্য প্রশ্ন করেন, ‘যদি কেউ তার বিয়ের অনুষ্ঠান সংসদের হলে করতে চায় এবং সংসদ অনুমতি না দেয়, তাহলেও তার বিচার কি শিক্ষা সংক্রান্ত বেঞ্চে হবে?’