Recruitment Case: ২ মাসের মধ্যে ৮০০ প্রার্থীকে চাকরি দিতে হবে, বড় নির্দেশ হাইকোর্টের
Recruitment Case: প্রাথমিক পর্ষদ থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশন- একাধিক ক্ষেত্রে নিয়োগ নিয়ে মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। নেতা-মন্ত্রী, অফিসার সহ একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায়।
কলকাতা: সদ্য কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যে প্রায় ২৫০০০ চাকরি বাতিল হয়েছে। বড় ধাক্কা খেয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন তথা রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছেছে সেই মামলা। এবার নিয়োগ নিয়ে এল সুখবর। আগামী ২ মাসের মধ্যে চাকরি দিতে হবে বলে অন্য একটি মামলায় নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। এর ফলে হাসি ফুটতে চলেছে প্রায় ৮০০ চাকরি প্রার্থীর পরিবারে। প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগেই আটকে ছিল নিয়োগ। ২০০৯ সাল থেকে ওই প্রার্থীরা নিয়োগের অপেক্ষায় রয়েছেন। অবশেষে তাঁদের জন্য এল স্বস্তির খবর।
প্রাথমিকের নিয়োগে যে উত্তর ২৪ পরগণায় দুর্নীতি হয়েছে সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। এ কথা শুনে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা কী চান? তদন্ত হোক? নাকি বোর্ড চাকরি দেবে?’ সংসদের তরফে বলা হয়, ‘আমরা চাকরি দিতে প্রস্তুত’।
২০০৯ সালের প্রাথমিক নিয়োগ নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও উঠেছিল অভিযোগ। দীর্ঘদিন ধরে চলে আন্দোলন। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে প্রায় ১৫০০ প্রার্থীর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এদিকে, গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের রায় ২০১৬ সালের এসএসসি-র নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিল করা হয়েছে। শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী মিলিয়ে প্রায় ২৫ হাজারের বেশি চাকরি বাতিল হয়েছে। রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্য়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন ও রাজ্য সরকার। সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পাওয়ার মতো অভিযোগও উঠেছিল সেই মামলায়।