Abhijit Gangopadhyay: ১২ লক্ষ টাকার আইনের বই আছে তাঁর কাছে, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটের দাম কত জানেন?
Abhijit Gangopadhyay: তমলুকের বিজেপি প্রার্থী হলফনামায় জানিয়েছেন, তাঁর কাছে রয়েছে নগদ ১২ হাজার টাকা। সেভিংস অ্যাকাউন্টে টাকা জমা রাখার পাশাপাশি ফিক্সড ডিপোজিট স্কিমেও বিনিয়োগ করেছেন তিনি।
কলকাতা: প্রথমে সরকারি চাকরি দিয়ে শুরু। এরপর সেই চাকরি ছেড়ে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন দীর্ঘদিন। পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পদে নিযুক্ত হন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি হিসেবে তাঁর কিছু পর্যবেক্ষণ সাড়া ফেলে দিয়েছিল। আর বর্তমানে তাঁর পরিচয় রাজনীতিক তথা বিজেপি প্রার্থী। তমলুক কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে পুরোদমে প্রচার করছেন প্রাক্তন বিচারপতি। সেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মোট সম্পত্তি কত জানেন?
হলফনামায় পেশ করা তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তিনি আয় করেছেন ৫৯ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে প্রাক্তন বিচারপতির আয় ছিল ৪২ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তিনি আয় করেছিলেন ৩৮ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ৩৫ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা ও ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ৩১ লক্ষ ৬ হাজার টাকা আয় করেছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
তমলুকের বিজেপি প্রার্থী হলফনামায় জানিয়েছেন, তাঁর কাছে রয়েছে নগদ ১২ হাজার টাকা। সেভিংস অ্যাকাউন্টে টাকা জমা রাখার পাশাপাশি ফিক্সড ডিপোজিট স্কিমেও বিনিয়োগ করেছেন তিনি। তিনটি এলআইসি পলিসি আছে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে। প্রথম দুটি ২ লক্ষ ৩ হাজার ৭০০ টাকার ও তৃতীয়টি ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ৬৮০ টাকার বিমা বলে জানানো হয়েছে।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, তাঁর গ্যারাজে রয়েছে একটি মারুতি সিয়াজ গাড়ি, যার দাম ৫ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া রয়েথে দুটি মূল্যবান পাথর সহ সোনার দুটি আংটি। সব মিলিয়ে আংটি দুটির দাম ৭৫ হাজার টাকা। এছাড়া আইনের বই রয়েছে ১২ লক্ষ টাকার। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৩ কোটি ৭ লক্ষ ২১ হাজার ১৫২ টাকা।
হাওড়ার ডোমজুড়ে একটি জমি রয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, যার দাম ৬০ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া সল্টলেকে রয়েছে একটি ফ্ল্যাট। ২০২১ সালে ৮০ লক্ষ টাকা দিয়ে ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন তিনি, যার বর্তমান দাম ৯৫ লক্ষ টাকা। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মোট অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ১ কোটি ৫৫ লক্ষ ৩৪ হাজার ৪৭২ টাকার। তাঁর নামে রয়েছে ৫০ লক্ষ টাকার হোম লোন।
বিচারপতি পদে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করেছিলেন তিনি। হলফনামায় তিনি জানিয়েছেন, বিচারপতি পদের জন্য তিনি যে পেনশন পান, সেটাই তাঁর আয়ের মূল উৎস।