WhatsApp গ্রুপে চলছিল এই সব কালো কারবার! বাবার জমানো সব টাকা হারিয়ে মাথায় হাত যুবকের
Cyber Crime: দুর্দান্ত রিটার্নের অফার দেখিয়ে টোপ দিত প্রতারকরা। তারপর সেই ফাঁদে একবার পা দিলেই সব শেষ। কলকাতার রাসবিহারী এভিনিউয়ের বাসিন্দা সোহম ভট্টাচার্য এমনই এক প্রতারণার ফাঁদে পড়েছিলেন। প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে ২৫ লাখ টাকার খুইয়েছেন তিনি।
কলকাতা: সাইবার জালিয়াতির নতুন চক্রের পর্দাফাঁস করল পুলিশ। হোয়াটসঅ্য়াপ গ্রুপের মাধ্যমে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের প্রলোভন দেওয়া হত। দুর্দান্ত রিটার্নের অফার দেখিয়ে টোপ দিত প্রতারকরা। তারপর সেই ফাঁদে একবার পা দিলেই সব শেষ। কলকাতার রাসবিহারী এভিনিউয়ের বাসিন্দা সোহম ভট্টাচার্য এমনই এক প্রতারণার ফাঁদে পড়েছিলেন। প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে ২৫ লাখ টাকার খুইয়েছেন তিনি। রাসবিহারী এভিনিউয়ের বাসিন্দা ওই যুবকের বাবা বেসরকারি এক সংস্থায় কাজ করতেন। কয়েক বছর আগেই বাবা মারা গিয়েছেন। অতিরিক্ত লাভের আশায় বাবার রেখে যাওয়া সব টাকা প্রতারকদের পাতা ফাঁদে ঢেলে দিয়েছিলেন তিনি। যতক্ষণে বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল।
এরপর সাইবার থানায় ওই যুবক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং তথ্য-প্রযুক্তি আইনের যথাযথ ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পারেন, প্রতারণার ওই ২৫ লাখ টাকার মধ্যে ৮ লাখ টাকা একটি সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়েছিল। দুটি মোবাইল নম্বরের হদিশ পায় পুলিশ। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে যখন এই লোক ঠকানোর কারবার চলছিল, তখন ওই মোবাইল নম্বরগুলির লোকেশন দেখাচ্ছিল বারাসতে। কিন্তু ওই নম্বরগুলি পরে সুইচড অফ করে দিয়েছিল প্রতারকরা। তদন্ত চালিয়ে পরে আরও দুটি নম্বরের সন্ধান মেলে, যেগুলি চালু ছিল। সেই নম্বরগুলিও প্রায় একই জায়গায় লোকেশন দেখাচ্ছিল পুলিশের কাছে।
সেই মতো বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বারাসতে হানা দেয় পুলিশ এবং দু’জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম অভিনব সেনগুপ্ত (২০), স্যামুয়েল কর্মকার (২০)। দুজনেরই বাড়ি পুরুলিয়া জেলায়, কিন্তু থাকছিল বারাসতের চাঁপাডালি মোড়ের কাছে এক অস্থায়ী ঠিকানায়। তাদের থেকে বেশ কিছু মোবাইল ফোন, এটিএম কার্ড, চেক বই, পাস বুক বায়েজাপ্ত করেছে পুলিশ। এরপর তাদের থেকে অলোক কুমার সিং নামে বছর চব্বিশের আরও এক যুবকের সন্ধান পায় পুলিশ। এই যুবক থাকত বরানগরে। পরে তাকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, এই অলোক সিং-ই হল মূল পান্ডা। অলোকের নির্দেশ মতোই কাজ করত বাকি দুজন।