Calcutta High Court: সন্দেশখালিতে ৩ BJP কর্মীকে খুন, হাইকোর্টের নির্দেশে এবার তদন্তে নামবে সিবিআই
Calcutta High Court: অভিযোগ, ২০১৯ সালের ৬ জুন সন্দেশখালির বাসিন্দা প্রদীপ মণ্ডল, দেবদাস মণ্ডল এবং সুকান্ত মণ্ডলকে হত্যা করা হয়। ওই তিনজন এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। জানা গিয়েছে, এই খুনের মামলায় প্রথমে চার্জশিটে নাম ছিল শাহজাহানের।

কলকাতা: বছর ছয়েক আগে শেখ শাহজাহানের ‘ডেরা’ সন্দেশখালিতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছিলেন ৩ জন। সেই খুনের ঘটনায় এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রদীপ মণ্ডল-সহ তিনজনকে খুনের ঘটনায় সিট গঠন করে সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
অভিযোগ, ২০১৯ সালের ৬ জুন সন্দেশখালির বাসিন্দা প্রদীপ মণ্ডল, দেবদাস মণ্ডল এবং সুকান্ত মণ্ডলকে হত্যা করা হয়। ওই তিনজন এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। জানা গিয়েছে, এই খুনের মামলায় প্রথমে চার্জশিটে নাম ছিল শাহজাহানের। পরে মামলার তদন্তভার সিআইডি-র হাতে যাওয়ার পর শাহজাহানের নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে একটি খুনের ঘটনাতেও শাহজাহানের নাম চার্জশিটে ছিল। কিন্তু সেবার তিনি জামিন পেয়ে যান।
প্রদীপ মণ্ডলের পরিজনদের অভিযোগ, ৬ বছর আগে ঘটনার দিন প্রদীপের বাড়িতে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। প্রদীপ ভয়ে ছুটে পালায়। তাঁকে তাড়া করে দুষ্কৃতীরা। তারপর গুলি করে খুন করে। প্রদীপের তুতো ভাই সুকান্ত মণ্ডলের বাড়িতেও হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। একইভাবে তাঁকে খুন করে। ওই একই সময়ে খুন করা দেবদাস মণ্ডলকে।
বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মৃতদের পরিবারগুলি সিআইডি তদন্তে সন্তুষ্ট ছিলেন না। শাহজাহান-সহ প্রধান অভিযুক্তের নাম চার্জশিটে ছিল না। আমরা ওই পরিবারগুলিকে আইনি সহায়তা দেব।” তিনি আরও বলেন, “ওই পরিবারগুলির উপর হামলার আশঙ্কা ছিল। তাই তাঁরা আমাদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন। আমরা তাঁদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে রেখেছি। তাঁরা যতদিন খুশি সেখানে থাকতে পারেন।”
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারি শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গেলে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা চালানো হয়। এরপর শাহজাহানের একের পর এক ‘কুকীর্তি’ নিয়ে সাধারণ মানুষ সরব হন। প্রথমে পালিয়ে বেড়ালেও শেষ পর্যন্ত ধরা পড়েন শাহজাহান। আপাতত তিনি জেলে রয়েছেন। তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল।

