কলকাতা: কোভিডের প্রথম সারির যোদ্ধাদের (Frontline Workers) ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে না কেন? কতজনকে দেওয়া হয়েছে? রাজ্যের কাছে এই তথ্য জানতে চেয়েছিল হাইকোর্ট (High Court)। সেই মতো আজ, বৃহস্পতিবার শুনানিতে তথ্য তুলে ধরে রাজ্য। কতজন প্রথম সারির যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে কতজনকে ইতিমধ্যেই ক্ষতিপূরণ দিয়েছে সরকার, সেই তথ্য দেওয়া হলেও সন্দেহ প্রকাশ করেন হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল। রাজ্যের দেওয়া পরিসংখ্যান বিশ্বাস করতে চাননি তিনি। এই সংক্রান্ত তথ্য জনসমক্ষে আনতে আজ রাজ্য নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
করোনা সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল এ দিন। এর আগে এই মামলার শুনানিতে প্রশ্ন উঠেছিল, প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কাররা করোনা আক্রান্ত হলে বা তাঁদের মৃত্যু হলেও রাজ্য সরকারের তরফে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে না। এরপরই তথ্য পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। সেই মতো এ দিন রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, মারণ ভাইরাস কোভিডে মৃত ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের মধ্যে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রাজ্যের কাছে জমা পড়েছে ১৮০টি আবেদন। এর মধ্যে ১০১ জনের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের টাকা দিয়েছে রাজ্য। অন্যদিকে কোভিড আক্রান্ত ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কারের সংখ্যা ৩০,৮৯৩। এর মধ্যে ৯,১৯০ জনকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়ে গিয়েছে।
রাজ্যের দেওয়া এই তথ্যে কিছুটা বিস্ময় প্রকাশ করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি রাজেশ বিন্দল বলেন, ‘মাত্র ১৮০ জন সরকারি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে এবং মাত্র ৩০ হাজার সরকারি কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন, এই তথ্য প্রাথমিকভাবে বিশ্বাসযোগ্য নয়।’ ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের মৃতের সংখ্যা, আক্রান্তের সংখ্যা এবং ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন ও তার স্ট্যাটাস জনসমক্ষে আনা নির্দেশ দিয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ।
এ ছাড়া রাজ্যের কাছে এ দিন জানতে চাওয়া হয়েছে, রাজ্য প্রতিদিন সর্বোচ্চ কত ভ্যাকসিন দিতে সক্ষম। সরকারি স্তরে টিকা দেওয়ার যথেষ্ট পরিকাঠামো আছে কি না, তাও জানতে চেয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। আরও পড়ুন: ‘বাংলায় তো রোজ বিজেপিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে, ত্রিপুরা নিয়ে এত সরব কেন?’, কুণালকে কটাক্ষ সায়ন্তনের