TV9 বাংলা ডিজিটাল: এর আগেও উদ্যোগ নিয়েছিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। কোনওমতে পোস্টার সাঁটিয়ে দায় সেরেছিল কেএমডিএ (Kolkata Metropolitan Development Authority)। কিন্তু পরিস্থিতি বদলায়নি। বেপরোয়ার দল তালা ভেঙে ঢুকেছিল সরোবরে। এবার তাই ছট পুজোর ১৫ দিন আগে থেকেই পদক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ছটপুজো (Chhath Puja) নিষিদ্ধ হোক সুভাষ সরোবরে।
২০১৭ সালে শর্তসাপেক্ষে রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজোর অনুমতি দেয় ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। বলে দেওয়া হয়, এটাই শেষবার! কিন্তু, ২০১৮ সালে বিধি শিকেয় তুলে সেখানে ফের হয় ছটপুজো। ২০১৯ সালে পোস্টার লাগিয়ে দেয় কেএমডিএ (KMDA)। যদিও এর চেয়ে বেশি তাদের তরফে আর কিছুই করা হয়নি। তালা ভেঙে রবীন্দ্র সরোবরে (Rabindra Sarover) ঢুকে দক্ষযজ্ঞ চালায় শয়ে শয়ে মানুষ। তেল, ঘি, ফুল, প্লাস্টিকের প্যাকেটে ভরে যায় রবীন্দ্র সরোবরের জল। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সবই দেখেছে পুলিস। যা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি।
কিন্তু তা থেকে শিক্ষা না নিয়েই, এবার ফের সুভাষ সরোবরে (Subhas Sarover) ছটপুজোর অনুমতি চেয়ে পরিবেশ আদালতে দ্বারস্থ হয় খোদ কেএমডিএ। সেই আদালত পত্রপাঠ খারিজ করে দেয় পরিবেশ আদালত। এরই মধ্যে একই ইস্যুতে হাইকোর্টে দায়ের হয় একটি জনস্বার্থ মামলা। ভার্চুয়াল শুনানিতে শুক্রবার বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘ছটপুজো নিষিদ্ধ হোক রবীন্দ্র সরোবর, সুভাষ সরোবরে।’ গঙ্গা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে কীভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তার দিকেও খেয়াল রাখতে রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, কালীপুজো ও ছটপুজোতেও বাজি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে হাইকোর্ট।
অতিমারি পরিস্থিতি ও তার জেরে লকডাউনে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবর। ফলে জল রয়েছে স্বচ্ছ, এলাকার পরিচ্ছন্ন। এবারে চমকে দেওয়ার মত বেড়েছে পরিযায়ী পাখিদের সংখ্যা। শেষ কয়েক বছরে দূষণের কারণে সরোবের পাখিদের আসা কমে গিয়েছিল। এবার মন ভালো করা সেই পাখিদের কলতান শোনা যাচ্ছে সরোবরে।