TV9 বাংলা ডিজিটাল: সাধারণ মানুষ তো বটেই, বিশেষজ্ঞরাও মনে করেছিলেন, পুজো মিটতেই বাংলাজুড়ে (Bengal) ব্যাপক হারে বাড়বে করোনা (Corona) সংক্রমণের হার। উদাহরণ আসছিল কেরলের ওনাম- পরবর্তী ফলাফলের কথা। কিন্তু পুজোতে বাঙালি বেশ কিছুটা সচেতন হওয়ায় যেমন সংক্রমণের হার কিছুটা কমেছে, তেমনি বাড়ছে সুস্থতার হারও (Recovery Rate)। যা অত্যন্ত ইতিবাচক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শুক্রবারের বুলেটিন অনুযায়ী, করোনা আক্রান্তের সুস্থতার হার ৪,২৮৩। শতাংশের বিচারে তা একলাফে বেড়ে ৮৯.২৫ শতাংশ। আক্রান্তের সংখ্যা কমে হয়েছে ৩৩,৫৫৭। যে সুস্থতার হার ধীরে ধীরে কমেছে, তা ফের বাড়তে শুরু করেছে। মেডিক্যাল বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ৫৫।
দক্ষিণবঙ্গে বিশেষত কলকাতা ও তার সন্নিহিত তিনটি জেলা, হুগলিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬১.৭৯ শতাংশ। মৃতের সংখ্যা ৩৬। উত্তরবঙ্গের মধ্যে মালদায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯১৫ জন। জলপাইগুড়িতে ৯৭৮-১০০০জন।
রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৩১৩ জন আক্রান্ত এখনও সরকারি কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন. ৯৭,৫৭৫ জন নিজেদের বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। পুজোর আগেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সতর্ক করে দিয়েছিলেন, সংক্রমণ আরও বাড়ছে। গোষ্ঠী সংক্রমণ বিভিন্ন জায়গায় হচ্ছে বলে সতর্ক করে দেন তিনি। দৈনিক করোনা সংক্রমণ ছাড়িয়ে যাচ্ছিল চার হাজার। মৃতের সংখ্যাও লাফিয়ে বাড়ছিল। তারপরই হাইকোর্ট পুজো মণ্ডপগুলিকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করে দেয়। তাতে যে আখেড়ে লাভই হয়েছে বাংলার, তা বুঝিয়ে দিচ্ছে করোনা সংক্রমণের নিম্নমুখী গ্রাফচিত্রই।