কলকাতা : স্কুলের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ মুখ পুড়ছে রাজ্যের। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছে নিয়োগ দুর্নীতির। এরই মধ্যে ফের নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ। স্কুলের পর এবার দমকলেও (West Bengal Fire Department) নিয়োগের ক্ষেত্রে বড়সড় বেনিয়মের অভিযোগে জোর ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। দমকল বিভাগের প্রায় ১৫০০ পদে নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার অর্থাৎ, ১২ জুলাই পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী সোমবার। উল্লেখ্য, রাজ্যের দমকল বিভাগে প্রায় ১৫০০ পদে অপারেটর নেওয়ার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। ২০১৮ সালে সেই নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা হয়েছিল। এই চাকরির নিয়োগের ক্ষেত্রেই বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
মামলাকারীদের অভিযোগ, দু’টি প্রশ্ন ভুল ছিল। এমনকী, যদি দু’জন চাকরিপ্রার্থী একই নম্বর পান, সেক্ষেত্রে যিনি পার্সোনালিটি টেস্টে নম্বর বেশি পেয়েছেন, তাঁকে চাকরি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও আরও একাধিক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। বিষয়টি শোনার পর বিচারপতি ট্যান্ডন আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার পর্যন্ত এই নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছেন। অর্থাৎ, আপাতত কোনওরকম নিয়োগ করা যাবে না। এরপর মামলা শেষ হলে, তার উপরই নির্ভর করবে চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ।
যে অভিযোগগুলি তোলা হয়েছে –
উল্লেখ্য, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। হাইকোর্টে বার বার মুখ পুড়েছে রাজ্যের। সিবিআই তদন্ত করছে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগের। এরই মধ্যে ফের একবার হাইকোর্টে জোর ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। ১৫০০ পদে নিয়োগে আপাতত স্থগিতাদেশ জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী সপ্তাহে এই মামলার ফের শুনানি রয়েছে। দমকলের নিয়োগ সংক্রান্ত এই বেনিয়মের অভিযোগ আগামীদিনে আদালতে কোন পথে মোড় নেয়, সেই দিকেই নজর থাকছে ওয়াকিবহাল মহলের।
বিষয়টি নিয়ে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “যেখানেই এই সরকার কোনও নিয়োগ করেছে, সেই নিয়োগ স্বচ্ছ নয়। সেই নিয়োগ দুর্নীতির ঊর্ধ্বে নয়। প্রতিটি নিয়োগ প্রশ্নচিহ্নের মুখে।”