কলকাতা: ২০২২ সালে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে জেলে রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। বারবার জামিনের আর্জি জানিয়ে, অসুস্থতার যুক্তি দেখিয়েও আদালত থেকে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। অবশেষে বৃহস্পতিবার তাঁকে জামিন দিয়েছে আদালত। তবে, তাতেও রেহাই পাচ্ছেন না মানিক। জেলে থেকে বেরনো তো হলই না, আদালতে গিয়ে ধমকও খেলেন মানিক ভট্টাচার্য।
জামিন পাওয়ার পরও বন্ড সংক্রান্ত বেশ কিছু সমস্যা থাকায় জেল থেকে বেরতে পারেননি মানিক। ফের মানিক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আজ, শুক্রবার দুপুর ২ টোয় আবারও শুনানি হয় বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এজলাসে। বিচারপতিকে জানানো হয়, ১০ লক্ষ টাকার রেজিষ্ট্রার বন্ড পেতে সমস্যা হবে। বিচারপতি ঘোষ এ কথা শুনে নির্দেশ দেন, ১০ লক্ষ টাকার মধ্যে পাঁচ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ড এবং পাঁচ লক্ষ টাকার রেজিষ্ট্রার বন্ড করানোর নির্দেশ দেন।
শুনানিতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে মানিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘গোটাটাই যদি ব্যক্তিগত বন্ড করানো যায়…।’ বিচারপতি অবশ্য তাঁর সেই আর্জি শোনেননি। ততক্ষণে দুপুর আড়াইটে বেজে গিয়েছে। ফলে, আদালতের নির্দেশের পর সই সাবুদ করে আপলোড হতে আরও ঘণ্টাখানেক সময় পার হয়ে যাবে। ফলে সন্ধ্যে গড়িয়ে গেলে আজ তাঁর জেল মুক্তির সম্ভাবনা কম।
এই পরিস্থিতি দেখে মানিক বলেন, ‘যদি সইটা একটু তাড়াতাড়ি করা যায়…।’ আর তাতেই ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ বিরক্ত হয়ে চিৎকার করে বলেন, ‘আদালতকে কাজ বোঝাবেন না। আদালতকে কাজ করতে দিন।’ এ কথা শুনে আর কিছু বলেননি মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর ছাত্র অনির্বাণ গুহঠাকুরতা এদিন তাঁকে সহযোগিতা করতে আদালতে এসেছিলেন। ‘স্যার’কে বকুনি খেতে দেখে তিনিও আর কোনও আর্জি জানাননি।