High Court-SSC Case: ‘এনাফ ইজ এনাফ… সবকিছুর একটা লিমিট থাকে’, ‘অযোগ্য’দের আবেদন শুনেই ক্ষুব্ধ আদালত
High Court-SSC Case: মূলত তিনটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে অযোগ্য বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম ওএমআর জালিয়াতি। এবার অযোগ্যদের একাংশের আবেদন, তাঁরা ওই জালিয়াতি করেননি।

কলকাতা: অনেক টালবাহানার পর গত শনিবার রাতে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের অযোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তারপরই সেই তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তালিকায় থাকা ৩৫০ জন। তাঁদের মামলা শুনেই কার্যত বিরক্তি প্রকাশ করলেন হাইকোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য। ‘তালিকা বেরতেই কোর্টে চলে এসেছেন!‘, এমন মন্তব্য করেন বিচারপতি। অযোগ্যদের একাংশের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট।
আদালত মনে করছে, এটা এমন কোনও মামলা নয়, যাতে অযোগ্যদের তালিকার উপর হস্তক্ষেপ করা যায়। তাই খারিজ করে দেওয়া হয়েছে এই মামলা। কার্যত বিরক্তি প্রকাশ করে বিচারপতি বলেন, “সব কিছুর একটা লিমিট থাকে। এনাফ ইজ এনাফ।“
অযোগ্যদের পক্ষে আইনজীবী অনিন্দ্য লাহিড়ী বলেন, “এই প্রথম এমন লিস্ট প্রকাশিত হল। আমাদের ডিভিশন বেঞ্চ বলেনি দাগি।“ তাঁর দাবি, যে ৩৫০ জন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন, তাঁরা র্যাঙ্ক জাম্প করেননি, ফাঁকা ওএমআর শিট জমা দিয়েও চাকরি পাননি। তাই এই অযোগ্যদের পক্ষে আইনজীবী বলেন, “শীর্ষ আদালতে যে কারণে অযোগ্য বলে চিহ্নিত করা হয়, সেই সংজ্ঞা আমাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।“
আর এক আইনজীবী শাক্য সেন বলেন, “শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ওএমআর সঠিক ছিল না। ওএমআর নষ্ট করা হয়েছে। আসলে ওএমআর ছিলই না। তাহলে একমাত্র সাদা ওএমআর শিট ছাড়া আর কিছু দিয়ে ওএমআর-এর ক্ষেত্রে বিচার করে অযোগ্য বলে চিহ্নিত করা যায় না।“
বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “আপনাদের ৩১ ডিসেম্বরের পর যখন আর কাজ করতে বারণ করা হল, তখন কি ঘুমোচ্ছিলেন? আদালতে আসেননি কেন? শীর্ষ আদালতে যাননি কেন? লিস্ট বেরনো পর্যন্ত অপেক্ষা করলেন কেন?“
এদিকে, এসএসসি-র তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বুঝিয়ে দেন, এই আবেদনকারীদের কেন অযোগ্য বলে চিহ্নিত করা হল। তিনি বলেন, “‘দাগি’ শব্দটা অনেক বড়। সিবিআই একটি তালিকায় সবাইকে দাগি তকমা দেয়। আমরা সিবিআই-এর রিপোর্টে ওএমআর মিস-ম্যাচ পেয়েছি। তাই এদের অযোগ্য হিসেবে বেছে নিয়েছি।”
উল্লেখ্য, এসএসসি-র নতুন নিয়োগের পরীক্ষার আর এক সপ্তাহও বাকি নেই। আগামী রবিবার অর্থাৎ ৭ সেপ্টেম্বর রয়েছে পরীক্ষা। ১৪ সেপ্টেম্বর হবে আরও একটি পরীক্ষা।
