School Reopening: বড় খবর! বাংলায় এখনই খুলছে না স্কুল, হাইকোর্টে সময় চাইল রাজ্য
Calcutta High Court: রাজ্য যখন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়, অনেক ভাবনাচিন্তা করতে হয়, হাইকোর্টে জানালেন এজি।
কলকাতা: স্কুল খুলতে আগ্রহ রয়েছে রাজ্য সরকারেরও। তবে স্কুল খোলা নিয়ে সাবধানী তারা। সমস্ত পড়ুয়া এখনও ভ্যাকসিন পায়নি। যারা পেয়েছে, টিকা পাওয়ার পর তাদের ১৫ থেকে ২০ দিন নজরে রাখতে হবে। তাই স্কুল খোলা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আরও কিছুটা সময় প্রয়োজন। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে জানাল রাজ্য। ১৪ ফেব্রুয়ারি ফের এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। স্কুল খোলার দাবিতে এখনও অবধি চারটি মামলা দায়ের হয়েছে হাইকোর্টে। প্রতিটি মামলার ক্ষেত্রেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল রাজ্যের বক্তব্য। এদিন রাজ্যের তরফে এজি সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় আদালতে জানান, তাঁরা স্কুল খুলতে আগ্রহী। কিন্তু কেন স্কুল খোলা যাচ্ছে না, তার ব্যাখ্যাও তুলে ধরেন। এদিন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব নির্দেশ দেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হল। এরমধ্যে স্কুলছুট নিয়েও তথ্য দেবে রাজ্য।
এদিন আদালতে মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, ছাত্রদের মনের গতিবিধি নির্ভর করছে এই স্কুল খোলার উপর। ইতিমধ্যে আত্মহত্যার ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে। এই অবস্থায় স্কুল খোলা অত্যন্ত প্রয়োজন। এভাবে কোভিডের অজুহাত দিয়ে স্কুল বন্ধ করে রাখা চলতে পারে না। দূরত্ববিধি বজায় রেখে স্কুল খোলা হোক। চিকিৎসকেরাও স্কুল খোলারই পক্ষে বলে আদালতে জানান তিনি।
পাল্টা এজি বলেন, রাজ্য আগ্রহী স্কুল খোলা নিয়ে। অনলাইন আর সশরীরে পড়াশোনা আলাদা। কিন্তু রাজ্য যখন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়, অনেক ভাবনাচিন্তা করতে হয়। স্কুল খুলতে গেলে শিক্ষক, স্কুল কর্তৃপক্ষ, নন টিচিং স্টাফ, অভিভাবকের অনুমতি নিতে হবে। পুজোর ছুটির পরে স্কুল খুলতে গেলে উল্টে মামলা হয়েছে, কেন স্কুল খোলা হচ্ছে তা নিয়ে। ছোটদের টিকাকরণ শুরু হলেও ১৫-১৮ বছর বয়সী এমন ৪৫ লক্ষের উপর ছাত্র ছাত্রী রয়েছে যাদের টিকা দিতে হবে। এখনও অবধি ৩৩ লক্ষের কিছু বেশি টিকার প্রথম ডোজ় পেয়েছে। জেলাগুলি এক্ষেত্রে অনেকটাই পিছনে।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষক সংগঠনের নেতা সৌগত বসু বলেন, “বহুবার আমরা বলেছি বাচ্চাদের থেকে প্রচুর সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এমনটা নয়। দু’বছরের অতিমারিকালে তা দেখা গিয়েছে। কেন রাজ্য এখনও সময় চাইছে তার বিজ্ঞানসম্মত কোনও যুক্তি পাচ্ছি না। হয়ত রাজ্যের অন্য কোনও ভাবনাচিন্তা রয়েছে। তাই এরকম বক্তব্য রেখেছে। স্কুল খোলার জন্য যেখানে পড়ুয়া, অভিভাবক থেকে সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষ পাহাড়প্রমাণ চাপ তৈরি করছেন বিদ্যালয় প্রশাসনগুলির উপরে। আমি জানি না সরকার কতদিন মুখ ফিরিয়ে থাকবে।”
আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, “স্কুলে এসে পড়াশোনা বন্ধ থাকায় ছাত্রছাত্রীদের মানসিক চাপ পড়ছে। ওদের মধ্যে বিভিন্ন রোগ দেখা যাচ্ছে। এই সমস্ত কিছু নিয়ে আমরা আদালতে এসেছিলাম। আমাদের মূল বক্তব্য ছিল স্কুলগুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খোলা হোক। অফলাইন মোডে ক্লাস শুরু করতে হবে। অনেক রাজ্যে শুরুও হয়েছে।”
আরও পড়ুন: ৪০৭টি জেলাতেই সংক্রমণের হার ১০ শতাংশে বেশি! বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়াল কেন্দ্র