COVID-19 Restriction Extended: ৪০৭টি জেলাতেই সংক্রমণের হার ১০ শতাংশে বেশি! বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়াল কেন্দ্র
COVID-19 Restriction Extended: ওমিক্রনের দাপটে করোনা সংক্রমণে যে হঠাৎ বৃদ্ধি হয়েছিল, তা এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসায় আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি অবধি কন্টেনমেন্ট করোনাবিধির মেয়াদ বাড়াল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
নয়া দিল্লি: কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না করোনা সংক্রমণ (COVID-19)। দেশে দৈনিক সংক্রমণে কিছুটা স্বস্তি মিললেও রাজ্যভিত্তিক সংক্রমণের হারে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ৩৪ টি রাজ্যর ৪০৭টি জেলাতেই সংক্রমণের হার এখনও ১০ শতাংশের বেশি। ওমিক্রনের দাপটে করোনা সংক্রমণে যে হঠাৎ বৃদ্ধি হয়েছিল, তা এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসায় আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি অবধি কন্টেনমেন্ট জ়োন সহ সমস্ত করোনাবিধির (COVID Restriction) মেয়াদ বাড়াল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Union Home Ministry)।
কী বলা হয়েছে চিঠিতে?
সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লার পাঠানো চিঠিতে জানানো হয়েছে, দেশের অধিকাংশ করোনা রোগীই সংক্রমিত হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠছেন এবং হাসপাতালে রোগী ভর্তির হারও তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। এরপরও দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২২ লক্ষের গণ্ডি পার করেছে।
কেন্দ্রের চিঠিতে বলা হয়েছে, “দেশের ৩৪ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৪০৭টি জেলাতেই সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের বেশি, যা যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ। সেই কারণেই বর্তমান করোনা পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে এখনও নজরদারি ও বিধিনিষেধ অবলম্বনের প্রয়োজন। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি অবধি সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হল।”
কী কী সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিল কেন্দ্র?
স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা জানিয়েছেন, সমস্ত রাজ্যেই যেন করোনা বিধিনিষেধ অবলম্বন করে চলা হয়। গত ১২ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্য়াণ মন্ত্রকের তরফে যে করোনাবিধি সংক্রান্ত নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল, তা অনুসরণ করেই রাজ্য, জেলা ও স্থানীয় প্রশাসন যেন কন্টেনমেন্ট জ়োন চিহ্নিত করার কাজ জারি রাখে।
স্থানীয় স্তরে কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা বা তা প্রত্য়াহারের সিদ্ধান্ত যেন সংক্রমণের হার ও হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্য়া পর্যালোচনা করেই নেওয়া হয়, এ কথাও জানান স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা। করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের পাঁচ দফা মন্ত্র অর্থাৎ করোনা পরীক্ষা, আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ, চিকিৎসা, করোনা টিকাকরণ ও করোনাবিধি অনুসরণ করে চলার পরামর্শও দেন তিনি।
খোলা জায়গায় এবং জনসমাগম হয়েছে, এমন জায়গায় যেন মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো করোনাবিধি কঠোরভাবে পালন করা হয়, তার জন্য় রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকেও তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন অজয় ভাল্লা। এছাড়া রাজ্যে যাতে করোনার নতুন প্রজাতি, যা উদ্বেগের কারণ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে, সে সম্পর্কে যাতে সাধারণ মানুষদের মনে ভুল ধারণা তৈরি না হয়, তার জন্য নিয়মিত সাংবাদিক বৈঠক করে সঠিক তথ্য প্রচার করা প্রয়োজন বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: Bihar Bandh: মাঝরাস্তায় জ্বলছে টায়ার, অবরুদ্ধ একাধিক হাইওয়ে! সকাল থেকেই বনধ ঘিরে রণক্ষেত্র বিহার