Awas Yojana: ঘর পাইয়ে দেওয়ার নামে কাটমানির অভিযোগ, কাঠগড়ায় বিজেপি
awas yojana: 'বাংলার বাড়ি' প্রকল্পে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির ৬০,০০০ টাকা ঢুকেছে। উপভোক্তাদের অভিযোগ, তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকছে জানতে পেরেই ওই এলাকার বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যা অপর্ণা বর ও তাঁর স্বামী বুধন বর তাঁদের কাছে দশ হাজার টাকা করে কাটমানি দাবি করেছেন।
জগৎপুর: বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা থেকে কাটমানি আদায়ের জন্য হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্যার বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার পঞ্চায়েত সদস্যার। কাটমানি আদায়ের হুমকি প্রসঙ্গে শোরগোল পড়ে গিয়েছে খানাকুল-২ নম্বর ব্লকের জগৎপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জগৎপুর দক্ষিণপাড়া এলাকায়। যদিও বিজেপি বিধায়কের দাবি খানাকূল দু’নম্বর ব্লকে পঞ্চায়েত সমিতি ও বেশিরভাগ পঞ্চায়েতই বিজেপির দখলে রয়েছে। তাই বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে তৃণমূল। বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যা একদমই গরিব মানুষ। বাড়িঘর ও নেই।
‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির ৬০,০০০ টাকা ঢুকেছে। উপভোক্তাদের অভিযোগ, তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকছে জানতে পেরেই ওই এলাকার বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যা অপর্ণা বর ও তাঁর স্বামী বুধন বর তাঁদের কাছে দশ হাজার টাকা করে কাটমানি দাবি করেছেন। কখনও তাঁদের বাড়ির সামনে গিয়ে, আবার কখনও নিজেদের বাড়িতে ডেকে তাঁদেরকে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। নাহলে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় এক গ্রামবাসী প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “আমায় বলেছিল। তবে আমি দিইনি। ওরা বলছিল বাড়ির টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকলে আমাদের দিতে হবে।”
শনিবার উপভোক্তারা খানাকুল দু’নম্বর বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য অপর্ণা বর। তিনি বলেন, “বিজেপির পরিচালিত পঞ্চায়েতকে দুর্নাম করার জন্য কিছু লোক ইচ্ছাকৃতভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটা তৃণমূলের ষড়যন্ত্র।” পঞ্চায়েত উপপ্রধানও বলেন, “এই বিষয়ে আমায় কেউ কিছু জানাননি।”