Ansarullah Bangla Team: বাংলায় গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা করেছিল আনসারুল্লাহ বাংলা টিম?
Ansarullah Bangla Team: গোয়েন্দারা জেনেছেন, দশ ধরনের IED মূলত গ্রেনেড তৈরি করার প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল এই টিমের সদস্যরা। অভিযুক্তদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে নথি। সেই নথি খতিয়ে দেখে গোয়েন্দারা বুঝেছেন দেশীয় প্রযুক্তিতে RPG বা রকেট তৈরির কৌশল শিখছিল জঙ্গিরা।
গোয়েন্দারা জেনেছেন, দশ ধরনের IED মূলত গ্রেনেড তৈরি করার প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল এই টিমের সদস্যরা। অভিযুক্তদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে নথি। সেই নথি খতিয়ে দেখে গোয়েন্দারা বুঝেছেন দেশীয় প্রযুক্তিতে RPG বা রকেট তৈরির কৌশল শিখছিল জঙ্গিরা। শুধু তাই নয়, আট ধরনের বন্দুক তৈরির ম্যানুয়াল উদ্ধার হয়েছে। এর থেকেই গোয়েন্দাদের ধারণা, স্লিপার সেলের সদস্যদের দীর্ঘদিন ধরে প্রশিক্ষণ চলছিল। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের IED এবং আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করতে পারদর্শী করে তোলার পরিকল্পনা ছিল তাদের।
গোয়েন্দা রিপোর্টে যে তথ্য পাওয়া যায়, তাতে ভারতের একটা অংশ বরাবরই রয়েছে এই এবিটি-র নিশানায়। ২০২২ থেকে এই ‘আনসারুল্লা বাংলা টিম’-এর পাশে দাঁড়িয়েছে লস্কর-ই-তইবাও। এই দুই জঙ্গি গোষ্ঠীরই উদ্দেশ্য ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশকে তছনছ করে দেওয়া। ২০২২-এর একটি গোয়েন্দার রিপোর্টে এও জানা যাচ্ছে যে, ত্রিপুরায় কর্মকাণ্ড চালাতে তৈরি অন্তত ৫০ থেকে ১০০ জঙ্গি।
সম্প্রতি যেভাবে পশ্চিমবঙ্গ ও অসম থেকে একের পর এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তাতে বাড়ছে আতঙ্ক, সেই রিপোর্টগুলি কি সত্যি হতে চলেছে? বস্তুত, এখন ছুটির মুডে রয়েছে বাঙালি। পিকনিক, ঘুরতে যাওয়া সব চলে এই সময়ে। বিশেষ করে ২৫ শে ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি ভিড় বাড়ে কলকাতা সহ জেলার বিভিন্ন পর্যটন এলাকায়। সেই সুযোগই কি কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছিল এই দল?