Poush Mela: পৌষ মেলার জন্য মাঠ দিতে নারাজ বিশ্বভারতী, হলফনামা চাইল হাইকোর্ট
Calcutta High Court: মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্ট জানিয়েছে, পরবর্তী শুনানিতে লিখিত এই বক্তব্য জানানোর পর আদালত পরবর্তী নির্দেশ দেবে।
কলকাতা: পৌষ মেলার (Poush Mela) জন্য আর মাঠ দিতে নারাজ বিশ্ব ভারতী কর্তৃপক্ষ। তাদের এই বক্তব্য ৬ডিসেম্বরের মধ্যে হলফনামার আকারে জমা দিতে হবে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্ট জানিয়েছে, পরবর্তী শুনানিতে লিখিত এই বক্তব্য জানানোর পর আদালত পরবর্তী নির্দেশ দেবে। উল্লেখ্য, মেলার কারণে পরিবেশ দূষণের অভিযোগ তুলে মামলা করেছিলেন গুরুমুখ জেঠওয়ানি নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা।
প্রসঙ্গত, এদিন বিশ্বভারতীর তরফে আদালতে জানানো হয়, এর আগে বিগত বছরগুলিতে শর্তসাপেক্ষে মেলার অনুমতি দিয়েছিল পরিবেশ আদালত। বিশ্ব ভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে হাইকোর্টে জানানো হয়, মেলার জন্য দূষণ ছড়ানো নিয়ে বার বার পরিবেশ আদালত সতর্ক করেছে। মেলা করলে বেশ কিছু শর্ত মানার নির্দেশ দিয়েছিল পরিবেশ আদালত। কিন্তু বিশ্বভারতীর বক্তব্য, ব্যবসায়ীরা এবং অন্যান্য ব্যক্তিরা শর্ত মানার উৎসাহ দেখায় না। ফলে পরিবেশ আদালতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় বিশ্ববিদ্যালয়কে। এমনই দাবি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। তাই মেলা নিয়ে আপত্তি না থাকলেও, ওই মাঠে মেলা করতে দেওয়ায় আপত্তি আছে বিশ্ব ভারতীর।
শ্রীনিকেতন শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদের হয়ে আইনজীবী জয়দীপ কর এদিন জানান, বিশ্ব ভারতী আপত্তি করলে মেলা হবে না। কিন্তু পিছিয়ে পরা জেলার অর্থ সামাজিক উন্নয়নে এটা হয়। দরকার হলে আদালত সব পক্ষের সঙ্গে বসে আলোচনা করে পথ বের করার সুযোগ করে দিতে পারে।
উল্লেখ্য, শান্তিনিকেতনের নামের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িয়ে রয়েছে পৌষমেলা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ পৌষ মেলার টানে শান্তিনিকেতনে যান। ভিড়ও হয় প্রচুর। আর তার ফলে, পরিবেশ দূষণের আশঙ্কাও থেকে যায়। সেই পরিবেশ দূষণের অভিযোগ তুলেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গুরুমুখ জেঠওয়ানি নামে ওই মামলাকারী। সেই মামলার প্রেক্ষিতে, এবার আদালত হলফনামা আকারে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের থেকে তাদের অবস্থান জানতে চাইল।