কলকাতা: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে একের পর এক এফআইআর! সভা করলেই শুভেন্দুর মন্তব্য নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়। এই সব মামলা সিবিআই-কে হস্তান্তর করা হোক। এমনই আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে হওয়া সব এফআইআরে স্থগিতাদেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেওয়া হল আদালতের তরফে। এর ফলে আপাতত স্বস্তি পেলেন শুভেন্দু। তবে সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত পরে নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার শুভেন্দুর তরফে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী প্রেমজিত সিং পাটোয়ালিয়া। তিনি জানিয়েছেন, বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে একই সময় ৬টি এফআইআর হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এফআইআর করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে মোট এফআইআরের সংখ্যা ২৬। শুভেন্দুর মন্তব্য নিয়ে অধিকাংশ এফআইআর হয়েছে বলে দাবি করেছেন আইনজীবী।
শুভেন্দুর তরফে অভিযোগ, যখনই সভায় কিছু বলা হচ্ছে, সেই বক্তব্য ধরে এফআইআর করা হচ্ছে। এমনকী টুইট করলেও অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি। এছাড়া, ৪১এ ধারায় প্রায়ই নোটিস দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ। আইনজীবী আরও জানিয়েছেন, এফআইআরে নাম, বাবার নাম কিছুই দেওয়া হচ্ছে না। প্রতিহিংসার জন্যই এই সব এফআইআর করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
আদালতে অ্যাডভোকেট জেনারেল গোপাল মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, ৪১এ নোটিসে সমস্যা কোথায়? তাঁর দাবি, তিনি কবে আসবেন, সেই সময় ও তারিখ জানতে চেয়েই এই নোটিস দেওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য, পুলিশের কাছে হাজিরা দেওয়ার জন্যই এ ৪১এ নোটিস দেওয়া হয়। এজি-র আরও প্রশ্ন শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষাকবচ আগেই দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে কেন নতুন করে আবার সুবিধা পাবেন?
সওয়াল-জবাবের পর বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা শুভেন্দুর প্রসঙ্গে বলেন, মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁর সন্দেহ আদালত সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিতে পারে না। বিচারপতি পর্যবেক্ষণ, পুলিশ নিজে অথবা একদল মানুষের প্ররোচনায় একের পর এক অভিযোগ এনে, জনগণের প্রতি তাঁর যে কর্তব্য, তা স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে। এরপর সব এফআইআর-এ স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।