কলকাতা: মেডিক্যাল দুর্নীতি মামলায় জট অব্যাহত। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই-এর এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ সেই এফআইআর খারিজের নির্দেশ দেয়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ করে দিল ডিভিশন। এদিন রাজ্য সরকারের তরফে ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। সেখানে ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, মূল মামলাকারী তাঁর পিটিশনে কোনওভাবেই FIR এর কথা উল্লেখ করেননি। তিনি এফআইআর চাননি। তাহলে কীসের ভিত্তিতে সিবিআই তদন্ত? এই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, মেডিক্যালে ছাত্র ভর্তিতে বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এক ছাত্রী অভিযোগ করেন, তিনি তপসিলি উপজাতিভুক্ত। তাঁর কাছে প্রামাণ্য শংসাপত্রও রয়েছে। তাসত্ত্বেও তিনি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হতে পারেননি। অভিযোগ, ভুয়ো শংসাপত্র দেখিয়ে অনেকে ভর্তি হচ্ছেন মেডিক্যাল কলেজে।খদ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, সেই মামলায় বুধবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। আধ ঘণ্টার মধ্যেই গোটা বিষয়টি রাজ্যের তরফে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। তখন ডিভিশন বেঞ্চে সিবিআই তদন্তের নির্দেশে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দেন। এরপরই জটিলতা তৈরি হয়। কারণ রাজ্যের তরফ থেকে আইনজীবী ফের স্থগিতাদেশের বিষয়টি নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তখন সেই নির্দেশের লাইভ স্ট্রিমিং দেখতে চান? নির্দেশ সংক্রান্ত নথি দেখতে চান। কিন্তু রাজ্য তা দেখাতে পারেনি। এরপরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, তিনি অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ মানছেন না। সিবিআই-কে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের যুক্তি, যেহেতু ডিভিশন বেঞ্চের কোনও নির্দেশই লিখিত আকারে আপলোড হয়নি, তাই তিনি তা মানেননি। ডিভিশন বেঞ্চ আপাতত FIR এর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন, পাশাপাশি আদালত থেকে নথি সংগ্রহের নির্দেশেও স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এখনও এই মামলাটি শুনছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।