কলকাতা : আচমকা ইস্তফা দিয়েছেন কলকাতা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও নিজের শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়েই ইস্তফা দিয়েছেন তিনি, তবুও সেই কারণ মানতে নারাজ চিকিৎসকদের একাংশ। গত কয়েকদিন ধরে মেডিক্যাল কলেজে হেরিটেজ রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অফথ্যালমলজি বা আরআইও ভবন ভেঙে ট্রমা কেয়ার তৈরি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তার জেরেই এই ইস্তফা বলে মনে করছেন অনেকে। আর এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে নির্মল মাজির। তৃণমূল নেতার সঙ্গে মতের অমিল হচ্ছিল বলেই মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্তফা দিয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। মত পার্থক্যের কথা স্বীকারও করেছেন নির্মল মাজি।
শোনা যাচ্ছে রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অফথ্যালমলজি বা আরআইও ভবন ভেঙে ট্রমা কেয়ার সেন্টার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রোগী কল্যান সমিতি। কলেজের অনেক প্রাক্তনী এর প্রতিবাদ করেন। তাঁদের দাবি, কেন একটি হেরিটেজ ভবন ভেঙে ট্রমা কেয়ার সেন্টার তৈরি হবে। এই নিয়ে নির্মল মাজির সঙ্গে মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত পার্থক্য হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তারপরই এই ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত।
তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজির দাবি, মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন বলেও উল্লেখ করেছেন নির্মল মাজি। সেই সঙ্গে আরআইও নিয়ে মত পার্থক্যের কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন কোথায় ট্রমা কেয়ার সেন্টার তৈরি হবে, তা নিয়ে তাঁর সঙ্গে মতের অমিল ছিল। তবে ইস্তফার কারণ সেটা নয় বলেই দাবি নির্মল মাজি।
চিকিৎসক সংগঠনের নেতা ড. সজল বিশ্বাস বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তিনি জানান, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, চিকিৎসকদের ওপর এমন চাপ তৈরি করা হচ্ছে, যাতে তাঁরা সরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এ ক্ষেত্রেও তেমন কিছু ঘটেছে বলেই মনে করেন তিনি। প্রশাসনিক কাজে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ সজল বিশ্বাসের। বিশেষত নির্মল মাজির বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ বারবার সামনে আসছে বলেও মন্তব্। করেন তিনি।
উল্লেখ্য, মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ থেকে আগেই অবসর নেন। অবসর গ্রহণের পরে তাঁকে পুনর্নিয়োগ করা হয়েছিল। ২০২২ সালের জুন মাস অবধি সেই কাজের মেয়াদও ছিল। তার অনেক আগেই মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্তফা দিলেন। মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জায়গায় কলকাতা মেডিকেল কলেজের নতুন অধ্যক্ষ হয়েছেন কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজে এখন যিনি অধ্যক্ষ পদে রয়েছেন সেই রঘুনাথ মিশ্র।
সম্প্রতি আয়ুশ ইউনানি রেজিস্ট্রারের নিয়োগে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নিয়োগ বিতর্ক ঘিরে আরও একবার শিরোনামে উঠে আসে নির্মল মাজির নাম। অভিযোগ, রাজ্য ইউনানি কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার ইমতিয়াজ হুসেন ভুয়ো পদ্ধতিতে ৯৪৭ জনকে নিয়োগ করেন। গত জুলাইতে কর্তব্যরত মহিলা ইন্টার্নকে ফোনে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে জীবনদায়ী ওষুধের কেলেঙ্কারিতেও নাম জড়িয়েছিল তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজির।
আরও পড়ুন : Coal Scam Case: সত্যিই কি অসুস্থ বিকাশ মিশ্র? আসানসোল-সহ ৩ হাসপাতালে চিঠি CBI-র
কলকাতা : আচমকা ইস্তফা দিয়েছেন কলকাতা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও নিজের শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়েই ইস্তফা দিয়েছেন তিনি, তবুও সেই কারণ মানতে নারাজ চিকিৎসকদের একাংশ। গত কয়েকদিন ধরে মেডিক্যাল কলেজে হেরিটেজ রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অফথ্যালমলজি বা আরআইও ভবন ভেঙে ট্রমা কেয়ার তৈরি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তার জেরেই এই ইস্তফা বলে মনে করছেন অনেকে। আর এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে নির্মল মাজির। তৃণমূল নেতার সঙ্গে মতের অমিল হচ্ছিল বলেই মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্তফা দিয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। মত পার্থক্যের কথা স্বীকারও করেছেন নির্মল মাজি।
শোনা যাচ্ছে রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অফথ্যালমলজি বা আরআইও ভবন ভেঙে ট্রমা কেয়ার সেন্টার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রোগী কল্যান সমিতি। কলেজের অনেক প্রাক্তনী এর প্রতিবাদ করেন। তাঁদের দাবি, কেন একটি হেরিটেজ ভবন ভেঙে ট্রমা কেয়ার সেন্টার তৈরি হবে। এই নিয়ে নির্মল মাজির সঙ্গে মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত পার্থক্য হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তারপরই এই ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত।
তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজির দাবি, মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন বলেও উল্লেখ করেছেন নির্মল মাজি। সেই সঙ্গে আরআইও নিয়ে মত পার্থক্যের কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন কোথায় ট্রমা কেয়ার সেন্টার তৈরি হবে, তা নিয়ে তাঁর সঙ্গে মতের অমিল ছিল। তবে ইস্তফার কারণ সেটা নয় বলেই দাবি নির্মল মাজি।
চিকিৎসক সংগঠনের নেতা ড. সজল বিশ্বাস বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তিনি জানান, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, চিকিৎসকদের ওপর এমন চাপ তৈরি করা হচ্ছে, যাতে তাঁরা সরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এ ক্ষেত্রেও তেমন কিছু ঘটেছে বলেই মনে করেন তিনি। প্রশাসনিক কাজে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ সজল বিশ্বাসের। বিশেষত নির্মল মাজির বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ বারবার সামনে আসছে বলেও মন্তব্। করেন তিনি।
উল্লেখ্য, মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ থেকে আগেই অবসর নেন। অবসর গ্রহণের পরে তাঁকে পুনর্নিয়োগ করা হয়েছিল। ২০২২ সালের জুন মাস অবধি সেই কাজের মেয়াদও ছিল। তার অনেক আগেই মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্তফা দিলেন। মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জায়গায় কলকাতা মেডিকেল কলেজের নতুন অধ্যক্ষ হয়েছেন কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজে এখন যিনি অধ্যক্ষ পদে রয়েছেন সেই রঘুনাথ মিশ্র।
সম্প্রতি আয়ুশ ইউনানি রেজিস্ট্রারের নিয়োগে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নিয়োগ বিতর্ক ঘিরে আরও একবার শিরোনামে উঠে আসে নির্মল মাজির নাম। অভিযোগ, রাজ্য ইউনানি কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার ইমতিয়াজ হুসেন ভুয়ো পদ্ধতিতে ৯৪৭ জনকে নিয়োগ করেন। গত জুলাইতে কর্তব্যরত মহিলা ইন্টার্নকে ফোনে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে জীবনদায়ী ওষুধের কেলেঙ্কারিতেও নাম জড়িয়েছিল তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজির।
আরও পড়ুন : Coal Scam Case: সত্যিই কি অসুস্থ বিকাশ মিশ্র? আসানসোল-সহ ৩ হাসপাতালে চিঠি CBI-র