কলকাতা: আইনি লড়াই লড়ে শুধু নিজের চাকরি আদায় করেছেন তাই নয়, আন্দোলনকারীদের এক অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন ববিতা সরকার (Babita Sarkar)। দীর্ঘ লড়াই শেষে গত বছরেই চাকরি পেয়েছেন ববিতা। শুধু তাই নয়, প্রাক্তন মন্ত্রীর মেয়ে বরখাস্ত হওয়ার পর সেই পদে ববিতা চাকরি পাওয়ায় কার্যত নজির তৈরি হয়েছে। কিন্তু কয়েক মাস ঘুরতে না ঘুরতে বিড়ম্বনায় ববিতা। চাকরি প্রার্থী অনামিকা রায়ের করা মামলায় এবার সেই ববিতার চাকরি নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। আদৌ কি থাকবে ববিতার চাকরি? সোমবারও আদালতে মিলল না সেই উত্তর। ওই মামলার শুনানি পিছিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আগামী শুক্রবার ওই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
হাইকোর্টের নির্দেশে ববিতা শুধু চাকরিই পাননি, প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকাও পেয়েছিলেন ববিতা। আগের শুনানিতে সেই টাকা আলাদা করে অন্য অ্যাকাউন্টে জমা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ববিতা সরকারকে। আলাদা করে ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য ববিতাকে নির্দেশ দেন বিচারপতি। যদি মামলার রায় বিপক্ষে যায় তবে পুরো টাকা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা করতে হবে।
অভিযোগ, ববিতার প্রাপ্ত নম্বর ৬০ শতাংশ না হওয়া সত্ত্বেও তিনি চাকরির আবেদনে ৬০ শতাংশ লিখেছিলেন। সে কারণেই তাঁর অ্যাকাডেমিক স্কোর বেড়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন অনামিকা রায়। তাঁর দাবি, ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোর যদি নিয়ম মাফিক দেওয়া হত, তাহলে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর কমে যেত, আর তার ফলে ববিতা নয়, চাকররি পেলেন তিনি। এর ফলে ববিতার চাকরি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ববিতার প্রাপ্ত নম্বর ৬০ শতাংশ না হওয়া সত্ত্বেও কেন তিনি আবেদনে ৬০ শতাংশ লিখলেন, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। সোমবারই সেই মামলার রায় দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। শুনানি হবে চলতি সপ্তাহের শুক্রবার। আদালত রায় দিলেই স্পষ্ট হবে ববিতার চাকরি থাকছে কি থাকছে না।