কলকাতা: শহরের তালিকা এখনও তৈরি হয়নি। পঞ্চায়েতকে সামনে রেখে জেলায় জেলায় শুরু হবে ‘দিদির দূত’ (Didir Doot)। আগামী ১১ জানুয়ারি অর্থাৎ বুধবার থেকে জেলা নেতৃত্ব প্রাথমিকভাবে শুরু করবেন এই অভিযান। তৃণমূল সূত্রে খবর, আপাতত কর্মসূচি রূপায়ণের যে রূপরেখা তৈরি হয়েছে, তাতে কর্মসূচির শুরুতে বিধায়করা এলাকায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। দলীয়কর্মীদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন তাঁরা। এলাকা পরিদর্শন করে এলাকারই কোনও কর্মীর বাড়িতে রাতও কাটাবেন। গত ২ জানুয়ারি নজরুল মঞ্চে ‘দিদির দূত’-এর ঘোষণা করে দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, দিদির দূত হিসাবে কাজ করবেন প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ ভলান্টিয়ার। তাঁরা মানুষের বাড়ি বাড়ি যাবেন। এই কর্মসূচির ২টো পর্যায়। প্রথম পর্যায়ে, প্রত্যেক সাংসদ, বিধায়ক, সভাধিপতি, জেলা প্রেসিডেন্ট, জেলা চেয়ারম্যান, দলীয় মুখপাত্ররা ৩২০ জনের টিম তৈরি হয়েছে। তাঁরা জানুয়ারির ১১ তারিখ থেকে ফেব্রুয়ারি ২৮ অবধি ১০ রাত করে গ্রামে থাকবেন। বাংলায় সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৩৪৩ অঞ্চল রয়েছে। ১ জন ১০টা অঞ্চলে রাতে থাকেন, তবে ৩২০ জনের হিসাবে ৩ হাজার ২০০ অঞ্চলে রাত কাটানো যাবে। ৯৮ শতাংশ অঞ্চলই ঘোরা হবে।
সূত্রের খবর, প্রতি বুথে পাঁচজন করে কর্মী দিদির দূত হিসাবে মনোনীত হচ্ছেন। যেহেতু ‘দিদির দূত’ অ্যাপের মাধ্যমেও কাজ করবে, তাই বুথের মনোনীত কর্মীদের কাছে থাকতে হবে অ্যান্ড্রয়েড ফোন। প্রত্যেক ‘দিদির দূত’-এর কাছে থাকবে আইপি নম্বর। দিদির দূত অভিযানে প্রতি জেলায় রাজ্য সমন্বয়কারী থাকবেন একজন। তাঁর অধীনে তিনজন থাকবেন। এই তিন জনের অধীনে জেলা সমন্বয়কারী থাকবেন ১০ থেকে ১৫ জন। এই সমন্বয়কারীদের অধীনে থাকবেন ব্লক পিছু ৫ জন। ব্লকের এই সমন্বয়কারীদের অধীনে প্রতি বুথে পাঁচজন করে থাকবেন।
এই সব ‘দিদির দূত’দের পৃথক রেজিস্ট্রেশন নম্বর থাকবে। তাঁরা তাঁদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে দিদির দূত অ্যাপটি ডাউনলোড করে নেবেন। প্রত্যেক ‘দিদির দূত’-এর কাছে থাকবে আইপি নম্বর। ‘দিদির দূত’রা যখন বিভিন্ন বাড়ি গিয়ে সরকারি প্রকল্প পাওয়া না পাওয়া নিয়ে জিজ্ঞাসা করবেন সেগুলো সবই ওই অ্যাপে তোলা হবে। আর তা সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করবে কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল। ইতিমধ্যেই ‘দিদির দূত’দের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে প্রতি বিধানসভা এলাকায়। কর্মসূচির শেষ ধাপে গিয়ে এক জেলার নেতা কর্মী অন্য জেলায় কিংবা শহরের কর্মী নেতা গ্রামে গিয়ে এলাকা ঘুরবেন।