কলকাতা: মেদিনীপুরের ঘটনায় তোলপাড় গোটা রাজ্য। স্বাস্থ্য দফতর নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। গত বছর কর্নাটক যে স্যালাইনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল, সেই স্যালাইন কেন রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে রমরমিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। সেই বিতর্কিত স্যালাইন নিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক প্রসূতির, এসএসকেএম-এ লড়াই চলছে আরও তিন প্রসূতির। এরই মধ্যে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে।
‘রিঙ্গার ল্যাকটেট’ নামে ওই বিশেষ স্যালাইন নেওয়ার পরই প্রসূতির মৃত্যু হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে তিন মা। চারদিন পরও তাদের মুখে কথা নেই, পেট ফুলে যাচ্ছে ক্রমশ। এবার সেই স্যালাইন নিয়েই জনস্বার্থ মামলা হল কলকাতা হাইকোর্টে। জোড়া মামলা দায়েরের অনুমতি দিলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির টি এস শিবজ্ঞানম। আগামী বৃহস্পতিবার প্রথম মামলার শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে। মামলা দায়ের করেছেন বিজয় সিংহল এবং কৌস্তভ বাগচী।
২০২৪-এর মার্চ মাসেই কর্নাটক সরকার এই স্যালাইন প্রস্তুতকারী সংস্থাকে নিষিদ্ধ বলে উল্লেখ করেছিলেন। ওই রাজ্যে চার প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল। তারপরই নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠে। ডিজিসিআই-কে চিঠিও দিয়েছিলেন ওই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সেই স্যালাইন নিষিদ্ধ করার পরও এরাজ্যে কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘বিষাক্ত’ স্যালাইন? সেই প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের হয়েছে। চলতি মাসেও আরজি কর হাসপাতালে এই স্যালাইন ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি মামলাকারীর। উল্লেখ্য, মেদিনীপুরের ঘটনার পর স্বাস্থ্য দফতরের তরফে হাসপাতালগুলিতে নির্দেশিকা পাঠানো হয়। তারপর একে একে ওয়ার্ড থেকে স্যালাইন সরানো শুরু হয়।