কলকাতা: সদ্য পদ থেকে সরানো হয়েছে বিনীত গোয়েলকে। জুনিয়ার ডাক্তারদের দাবি মেনে পুলিশ কমিশনার পদ থেকে তাঁকে সরানোর কথা ঘোষণা করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মঙ্গলবার তাঁকে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ-এর এডিজি পদে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তারপরও প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের অস্বস্তি কাটল না। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা জিইয়ে রাখল কলকাতা হাইকোর্ট।
বিনীত গোয়েল মামলায় সিবিআই-এর কাছে জানতে চায় আদালত। হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। একই সঙ্গে তিলোত্তমার ছবি ব্যবহার করা ও কুমন্তব্যের অভিযোগে তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট জমা পড়ে কলকাতা হাইকোর্টে। সিবিআই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের কাছে এদিন এই রিপোর্ট জমা দেয়।
মামলাকারীর হয়ে আইনজীবী মহেশ জেটমালানি বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। তিনি উল্লেখ করেন বিনীত গোয়েল নিজেই নির্যাতিতার নাম বলেছেন। এফআইআর করার নির্দেশ দেওয়া হোক বলে আর্জি জানান তিনি। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা পাঠানোর দাবিও জানানো হয়েছে। আইনজীবীর প্রশ্ন, সুপিরিয়র পোস্টে থেকেও কীভাবে নাম উল্লেখ করতে পারেন নির্যাতিতার? প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের কাছ থেকে এর উত্তর চাওয়ার আর্জি জানান জেটমালানি।
এ কথা শুনে বিনীত গোয়েলের আইনজীবী বলেন, ইতিমধ্যেই বিনীত গোয়েলকে অন্য পদে সরানো হয়েছে। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলা বিচারাধীন। তাই হাইকোর্টে এই মামলার কোনও গুরুত্ব নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি জানিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই মামলা জিইয়ে রাখা হচ্ছে। শীর্ষ আদালতে শুনানির পর ফের শুনানি হবে। তাই হাইকোর্টে আপাতত অস্বস্তি কাটল না বিনীত গোয়েলের।
উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের আবহে কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে নিয়ে বিতর্ক হয়েছে অনেক। তাঁর পদত্যাগের দাবিতে লালবাজার অভিযান করেছিলেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। মঙ্গলবারই তাঁকে পদ থেকে সরানো হয়েছে।