কলকাতা: গত এক সপ্তাহে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ সাহুর বাড়ি থেকে যে ভাবে নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে, তাতে গোটা দেশের মানুষের চক্ষু চড়কগাছ। এ যেন টাকার খনি। মেশিনও বোধ হয় টাকা গুনতে গুনতে হাঁফিয়ে উঠেছে। তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই জোরাল হচ্ছে বাংলার যোগ। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে মদ ব্যবসার সূত্রে সরাসরি যোগ থাকতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। তল্লাশি শেষ হলে পুরোদমে তদন্ত শুরু করবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাতেই দুর্নীতির কোনও নতুন সূত্র উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
তল্লাশি শেষ হয়নি এখনও। আয়কর দফতরের অভিযানে মঙ্গলবার পর্যন্ত ধীরজ সাহুর বাড়ি থেকে ৩৫৩ কোটি টাকা উদ্ধারের খবর সামনে এসেছে। এরই মধ্যে কলকাতা সহ বাংলার একাধিক জায়গায় হয়েছে তল্লাশি। মদের ব্যবসায় কারচুপির অভিযোগেই সোমবার কলকাতায় উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। তল্লাশি হয়েছে হুগলির পোলবাতেও। প্রশ্ন উঠছে, ওড়িশায় যেমন ধীরজ সাহুর বিরুদ্ধে কালো টাকার লেনদেনের হদিশ মিলেছে, বাংলায় এ সবের নেপথ্যে কে ছিলেন? কোনও বড় মাথা ছিল কি না, সেটাও খতিয়ে দেখবে ইডি।
ওড়িশায় সাহু পরিবারের মদ প্রস্তুতকারক সংস্থার সঙ্গে বাংলার যোগসূত্র থাকতে পারে বলে মনে করছে ইডি। সাহু পরিবারের ব্যবসা যে দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গে জাল ছড়িয়েছে তেমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা। প্রভাবশালী যোগ থাকার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা।