কলকাতা: হালিশহরের চেয়ারম্যান রাজু সাহানির বাড়ি থেকে লক্ষ-লক্ষ টাকা উদ্ধারের পর তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI)। এরপর তাঁর ঘনিষ্ঠ বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর বাড়িতেও হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁকে। সুবোধ অধিকারীর দক্ষিণদাঁড়ি, পাইকপাড়ার ফ্ল্যাটে চালানো হয় লাগাতার তল্লাশি। এরপর সুবোধ অধিকারীর আপ্ত-সহায়ক ও নিরাপত্তারক্ষীকে সিজিও (CGO) কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন তদন্তকারী আধিকারীকরা। বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর দুই নিরাপত্তারক্ষীকে ছেড়ে দেওয়া হলেও আপ্ত-সহায়ক রবিন্দর সিংকে রাতভর সেখানেই রাখা হয়। সোমবার সকাল অবধি টানা চলে জিজ্ঞাসাবাদ।
সিবিআই সূত্রে খবর, বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পেতে রাতভর রবিন্দরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারীকরা এমনটাই মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি রাজু সাহানি সংক্রান্ত সুবোধ অধিকারীর থেকে যা তথ্য গোয়েন্দারা পেয়েছেন সেই বিষয়ের সত্যতা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে রাজু সংক্রান্ত আরও নতুন কোনও তথ্য যদি রবিন্দর জেনে থাকেন তারও খোঁজখবর চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা এমনটাই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। এরপর সিজিও থেকে সকাল ৬টা ৫৪ নাগাদ রবিন্দর সিংকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে যায় সিবিআই-এর বিশাল দল। এরপর রানিকুঠির আবাসনে পৌঁছয় তাঁরা। মোট পাঁচটি গাড়িতে করে গোয়েন্দা দল ঢোকে সেখানে। বাড়িটির মালিক ভগবান্তদেবী ঝুনঝুনওয়ালা। রবিন্দর সিংকে নিয়ে এই আবাসনেই পৌঁছন গোয়েন্দারা।
উল্লেখ্য, রবিবার বীজপুর বিধানসভা এলাকার মোট ছ’জায়গায় অভিযান চালায় সিবিআই। একইসময়ে ৬টি দল একযোগে ছ’জায়গায় তল্লাশি চালায়। সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে হালিশহর জেঠিয়াতে কমল অধিকারীর ফ্ল্যাটে, হালিশহর মঙ্গলদীপ, হালিশহর জেঠিয়াতে সুবোধ অধিকারীর পৈত্রিক বাড়িতে, জেঠিয়ায় অভিজিৎ শিকদারের বাড়িতে হানা দেয় তারা।
এরপর সুবোধ অধিকারীর আপ্ত সহায়ক রবিন্দর সিং ও দুই নিরাপত্তারক্ষী সন্ধ্যা ৭টা ২০ নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। রাত ১০টা নাগাদ নিরাপত্তারক্ষী ও সুবোধের গাড়ির চালক সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে যান।