কলকাতা : রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) তদন্ত চলছে পুরোদমে। অভিযোগের ভিত্তিতে জেলায় জেলায় গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। পাশাপাশি ধড়পাকড়ও চলছে। তবে এবার প্রথম ভোট পরবর্তী হিংসায় ধর্ষণের চেষ্টার মামলা রুজু করল পুলিশ। মুর্শিদাবাদের এক মহিলার করা অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলা রুজু করা হয়েছে। ওই মহিলার অভিযোগ, পুলিশ ঘটনার তদন্তে কোনও তৎপরতা দেখায়নি।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে এই অভিযোগ ওঠে। ভোট পরবর্তী হিংসায় এক মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা করার অভিযোগ ওঠে। ওই মহিলার দাবি, বারবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও কোনও লাভ হয়নি। পরে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এই মামলা রুজু করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, যে সব মামলার তদন্ত রাজ্য পুলিশ করেনি, সেই ক্ষেত্রেও তদন্ত করতে হবে সিবিআই-কে।
একুশের ভোটের পর রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ উঠেছিল বেশ কয়েকটি। তার মধ্যে বেশিরভাগ অভিযোগই করে বিজেপি। তারা অভিযোগ করে, বহু ক্ষেত্রে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা রয়েছে। শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে মামলা করতে অনীহা দেখিয়েছে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। এর পর গত ১৯ অগস্ট কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই।
ইতিমধ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই এবং সিটকে নতুন করে তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি আই পি মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঘরছাড়া রাজনৈতিক কর্মীদের তালিকাও চান বিচারপতি।
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট আগেই জমা দিয়েছিল রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট। একমাস পুরনো হয়ে গিয়েছে সেই রিপোর্ট। তাই বর্তমানে সেই তদন্ত ঠিক কোন পর্যায়ে রয়েছে, কত দূর এগোল, তা জানতেই নতুন রিপোর্ট চেয়েছে হাইকোর্ট। সিবিআই তদন্তে জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মোট ৪০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। তদন্ত এখনও চলছে।
ইতিমধ্যেই এই মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকার আবেদনে জানিয়েছিল, রাজ্যের অনুমতি না নিয়েই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। এই মর্মে রাজ্য শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সেই মামলায় কেন্দ্রের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সিবিআইকে তদন্তের অনুমতি দেওয়ার বা সিবিআই তদন্ত বন্ধ করে দেওয়ার কোনও ক্ষমতা নেই রাজ্যের।
আরও পড়ুন : Corona Outbreak: ১০ হাজারে সংক্রমণ, মৃত্যু কমে ১২৫! স্বস্তি দিচ্ছে কেরল,মহারাষ্ট্র
কলকাতা : রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) তদন্ত চলছে পুরোদমে। অভিযোগের ভিত্তিতে জেলায় জেলায় গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। পাশাপাশি ধড়পাকড়ও চলছে। তবে এবার প্রথম ভোট পরবর্তী হিংসায় ধর্ষণের চেষ্টার মামলা রুজু করল পুলিশ। মুর্শিদাবাদের এক মহিলার করা অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলা রুজু করা হয়েছে। ওই মহিলার অভিযোগ, পুলিশ ঘটনার তদন্তে কোনও তৎপরতা দেখায়নি।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে এই অভিযোগ ওঠে। ভোট পরবর্তী হিংসায় এক মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা করার অভিযোগ ওঠে। ওই মহিলার দাবি, বারবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও কোনও লাভ হয়নি। পরে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এই মামলা রুজু করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, যে সব মামলার তদন্ত রাজ্য পুলিশ করেনি, সেই ক্ষেত্রেও তদন্ত করতে হবে সিবিআই-কে।
একুশের ভোটের পর রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ উঠেছিল বেশ কয়েকটি। তার মধ্যে বেশিরভাগ অভিযোগই করে বিজেপি। তারা অভিযোগ করে, বহু ক্ষেত্রে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা রয়েছে। শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে মামলা করতে অনীহা দেখিয়েছে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। এর পর গত ১৯ অগস্ট কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই।
ইতিমধ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই এবং সিটকে নতুন করে তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি আই পি মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঘরছাড়া রাজনৈতিক কর্মীদের তালিকাও চান বিচারপতি।
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট আগেই জমা দিয়েছিল রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট। একমাস পুরনো হয়ে গিয়েছে সেই রিপোর্ট। তাই বর্তমানে সেই তদন্ত ঠিক কোন পর্যায়ে রয়েছে, কত দূর এগোল, তা জানতেই নতুন রিপোর্ট চেয়েছে হাইকোর্ট। সিবিআই তদন্তে জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মোট ৪০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। তদন্ত এখনও চলছে।
ইতিমধ্যেই এই মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকার আবেদনে জানিয়েছিল, রাজ্যের অনুমতি না নিয়েই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। এই মর্মে রাজ্য শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সেই মামলায় কেন্দ্রের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সিবিআইকে তদন্তের অনুমতি দেওয়ার বা সিবিআই তদন্ত বন্ধ করে দেওয়ার কোনও ক্ষমতা নেই রাজ্যের।
আরও পড়ুন : Corona Outbreak: ১০ হাজারে সংক্রমণ, মৃত্যু কমে ১২৫! স্বস্তি দিচ্ছে কেরল,মহারাষ্ট্র