কলকাতা: ৮২০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতির তদন্তে নেমেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেই সূত্র ধরেই সোমবার কলকাতা ও ম্যাঙ্গালুরুর বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়েছিলেন সিবিআই অফিসাররা। সব মিলিয়ে মোট ১৩টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চলেছে। তার মধ্যে রয়েছে কলকাতা সংলগ্ন নিউটাউন ও দত্তাবাদের তিনটি এলাকা অন্যতম। তবে টাকা চুরি এই ঘটনার পিছনে বঙ্গযোগ থাকতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। কারণ, ওই ব্যাঙ্কের তরফে আইএমপিএস (IMPS) ডিজিটাল লেনদেনে নজরদারি চালানোর ব্যবস্থা যে সংস্থা সামলাতো, তাদের অফিস বিধাননগর এলাকার মধ্যে পড়ে। একটি বেসরকারি সংস্থা এই দায়িত্ব সামলাতো বলেই খবর।
সূত্রের খবর, এই বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা ইতিমধ্যেই সিবিআই স্ক্যানারে রয়েছেন। যদিও তদন্তকারীরা এখনই নিশ্চিত নন যে এই ঘটনা ঘটার পিছনে কার হাত রয়েছে। জানা যাচ্ছে, ৮২০
কোটির সন্দেহজনক লেনদেনের ঘটনায় ব্যাঙ্কের তরফে দু’জন সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ারের নামে অভিযোগ করা হয়েছে। যার ভিত্তিতে দিল্লিতে মামলা করেছে সিবিআই আধিকারিকরা।
গত ১০ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বরের মধ্যে সাতটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের ১৪ হাজার অ্যাকাউন্ট থেকে ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের ৪১ হাজার অ্যাকাউন্ট আইএমপিএস চ্যানেল মারফত টাকা পাঠানো হয়। অভিযোগ, সাড়ে আট লক্ষের বেশি ট্রানজ়াকশন হয়েছে অ্যাকাউন্টগুলি থেকে। যে ব্যাঙ্কগুলি থেকে টাকা ঢুকেছিল, সেখানে ট্রানজাকশন ফেল দেখালেও ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের কাছে ট্রানজাকশন হয়ে গিয়েছে বলে দেখায়। যার জেরে যে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা ডেবিট হচ্ছিল সেখান থেকে যথাযথ ডেবিট না হওয়ার পরেও বেসরকারি ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে প্রায় ৮৫০ কোটি টাকা ঢুকে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। এই ঘটনারই তদন্ত করছে সিবিআই।
এই মামলায় যে তেরোটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে তার মধ্যে কলকাতা ও দক্ষিণ ভারতও ছিল। তবে যেহেতু এই রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের সদর দফতর ও পরিচালনা কলকাতা থেকেই। তাই তদন্তকারীদের অনুমান এই ডিজিটাল লুঠে বঙ্গযোগ আছে। গতকাল সেই মর্মে চলে একপ্রস্থ তল্লাশিও। তাতেই
উদ্ধার হয়েছে প্রচুর ডিজিটাল নথি,মোবাইল, ল্যাপটপ,কম্পিউটার,ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড।