কলকাতা: ‘তিলোত্তমা’র জন্য বিচার চেয়ে সরব হয়েছেন দেশের হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু এখনও অনেক প্রশ্নের উত্তর অধরা। সে দিন রাতে ঠিক কী হয়েছিল, তা না জানতে পারলে তদন্তের কিণারা করতে পারবেন সিবিআই আধিকারিকরাও। তাই দফায় দফায় প্রশ্ন করা হচ্ছে হাসপাতালের কর্মীদের। আর এই ঘটনায় যাঁর নাম বারবার জড়াচ্ছে, তিনি আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। শুক্রবার দুপুরের পর শনিবার সকালে ফের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, তাঁর জন্য বেশ কিছু প্রশ্ন সাজিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
একনজরে দেখে নিন কী সেই সম্ভাব্য প্রশ্ন?
‘ঘটনার কথা কখন জানতে পারলেন? তখন আপনি কোথায় ছিলেন?’
‘কে জানাল চিকিৎসকের মৃত্যুর কথা? কী বলা হয়েছিল আপনাকে?’
‘দেহ কোথায়, কী অবস্থায় আছে বলে জানতে পারেন আপনি?’
‘খবর পেয়ে আপনি কোথায় কোথায় বিষয়টি জানান? স্বাস্থ্যভবনে জানিয়েছিলেন? কাকে জানিয়েছিলেন?’
‘পুলিশকে কি আপনি খবর দেন? ঠিক কী জানিয়েছিলেন পুলিশকে?’
‘কে প্রথম দেহ দেখতে পায়?’
‘ঘটনার দিন আপনি হাসপাতালে কখন পৌঁছন?’
‘কোন ঘরে, কোথায় দেহ রাখা ছিল?’
‘আপনি হাসপাতালে গিয়ে ঠিক কী দেখেন? দেহ দেখে কী মনে হয়েছিল আপনার?’
‘পরিবারকে কি জানানো হয়েছিল? পরিবারকে হাসপাতালের তরফ থেকে কে ফোন করেন?’
‘পরিবার বলছে, হাসপাতালের তরফে এসিস্ট্যান্ট সুপার ফোন করে বলেছিলেন ‘তিলোত্তমা’ আত্মহত্যা করেছে। এটা আপনি জানতেন?’
‘ইনকোয়েস্ট রিপোর্ট দেখেছেন?’
‘হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক আছে কি না কে দেখত?’
‘সুপার হিসেবে আপনাকে কোন কোন দায়িত্ব সামলাতে হত?’
‘নাইট ডিউটিতে বা ডিউটির পর মহিলা ডাক্তার ও নার্সরা কোথায়, কীভাবে থাকেন, সেটা জানতেন?’
‘সিকিউরিটি রিভিউ মিটিং শেষ কবে হয়েছিল?’
এই সব প্রশ্নের সদুত্তর মিললে তদন্তের অগ্রগতিতে অনেক সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)