Post Poll Violence: ভোট পরবর্তী হিংসায় নতুন অভিযোগ, তদন্ত কি করবে CBI? জানতে চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Jul 08, 2022 | 12:11 PM

Calcutta High Court: ইতিমধ্যেই নতুন করে তিনটি অভিযোগ উঠে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে খুন এবং ধর্ষণের অভিযোগও। সেই মামলার তদন্তভার সিবিআই গ্রহণ করবে কি না, তা জানতে চেয়ে আদালতে আবেদন করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

Post Poll Violence: ভোট পরবর্তী হিংসায় নতুন অভিযোগ, তদন্ত কি করবে CBI? জানতে চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
কলকাতা হাইকোর্ট

Follow Us

কলকাতা : ভোট পরবর্তী অশান্তি (Post Poll Violence) ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) নতুন করে আবেদন সিবিআইয়ের (CBI)। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ অব্যাহত। ইতিমধ্যেই নতুন করে তিনটি অভিযোগ উঠে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে খুন এবং ধর্ষণের অভিযোগও। সেই মামলার তদন্তভার সিবিআই গ্রহণ করবে কি না, তা জানতে চেয়ে আদালতে আবেদন করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের ১৯ অগস্ট কলকাতা হাইকোর্টের থেকে একটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় খুন, ধর্ষণ, মহিলাদের উপর অত্যাচার সংক্রান্ত যে অভিযোগগুলি রয়েছে, সেগুলির তদন্ত করবে সিবিআই। এছাড়া ভোট পরবর্তী হিংসার অন্যান্য অভিযোগগুলির তদন্ত করার জন্য সিট গঠন করতে হবে বলেও জানিয়েছিল হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে তৃণমূল নেতাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। গতবছর ২ মে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছিল। রাজ্যে তৃতীয় বারের জন্য জয়ী হয় তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি একশোর গণ্ডিও টপকাতে পারেনি। তারপর থেকে জেলায় জেলায় বিরোধীদের উপর বিশেষ করে বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের উপর দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ। একাধিক জায়গা থেকে খুন ও ধর্ষণের অভিযোগ উঠে এসেছিল। ভয়ে অনেক বিজেপি কর্মী ও সমর্থক ঘরছাড়া হতে বাধ্য হয়েছিলেন বলেও দাবি পদ্ম শিবিরের।

প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত একাধিক তৃণমূল নেতাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কয়েকদিন আগেই নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা আবু তাহেরের ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, ফৌজদারি দণ্ডবিধি অনুযায়ী, অভিযুক্ত হিসেবে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হলে এবং সাক্ষী হিসেবে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হলে উভয় ক্ষেত্রে পৃথক পৃথক নোটিস দেওয়া হয়। কিন্তু আবু তাহেরকে সাক্ষী হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেও আদালতে তাঁর আগাম জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই। সেই নিয়ে আদালতে বেশ ধমক খেতে হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে।

Next Article