কলকাতা : রাজ্য জুড়ে একাধিক মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে কয়লা পাচারের মতো একাধিক মামলা রয়েছে এই সংস্থার হাতে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতায় সিবিআই দফতরে বৈঠক সারলেন সিবিআই-এর অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর অজয় ভাটনগর। মঙ্গলবার সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে যান তিনি।
সিবিআই সূত্রে খবর, এদিন সিবিআই-এর হাতে থাকা বিভিন্ন মামলার তদন্তের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন অজয় ভাটনগর। বিশেষ করে গরু পাচার, কয়লা পাচার এবং নিয়োগ দুর্নীতির মতো হাই প্রোফাইল মামলার তদন্ত কোন পথে কতটা এগিয়েছে এবং কোথায় খামতি আছে তা খতিয়ে দেখেন তিনি। গরু পাচার মামলায় আব্দুল লতিফকে নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আভ্যন্তরীণ একটি অনুসন্ধান হয়েছে। তার রিপোর্টও মঙ্গলবার খতিয়ে দেখেন ভাটনগর।
লতিফ-কাণ্ড ছাড়াও গরু পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্ত বেশ কিছু ক্ষেত্রে প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এমনকী আদালতেও সম্প্রতি বিচারকের প্রশ্নের মুখে আতান্তরে পড়েন সিবিআই আইনজীবী। গত ৩ এপ্রিল সিআইডি-র হাতে গরু পাচারে অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার হওয়া জেনারুল শেখের জামিন মামলায় বিচারক প্রশ্ন করেছিলেন, কেন খামতি প্রস্তুতিতে?
শুধু গরু পাচার নয়, নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেও বার বার সিবিআই তদন্ত নিয়ে হাইকোর্ট এবং নিম্ন আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে আইনজীবীদের। এই বিষয়টাও সিবিআই-এর এই উচ্চপদস্থ আধিকারিক খতিয়ে দেখেন বলে সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের সঙ্গে যুক্ত বিশেষ তদন্তকারী দলের তদারকির দায়িত্বে থাকা এসপি এবং ডিআইজি-র সঙ্গে এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলে তদন্তের গতি বাড়ানোর পাশাপাশি দ্রুত তদন্তের খামতিগুলো শুধরে নেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।
এই হাই প্রোফাইল মামলাগুলোতে যে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম উঠে এসেছে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পথে এগোনোর পরামর্শ দেন তিনি। সূত্রের খবর, প্রয়োজনে ওই তিনটি হাই প্রোফাইল মামলার তদন্তের জন্য আরও আধিকারিক নিয়োগ করা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
সিজিও কমপ্লেক্স এবং নিজাম প্যালেস থেকে সিবিআই-এর সমস্ত দফতর সংযুক্ত করে এক ছাদের তলায় নিয়ে যাওয়ার যে প্রস্তাব ইতিমধ্যেই রয়েছে, তা কতদূর এগিয়েছে সেটাও ছিল মঙ্গলবারের বৈঠকের অন্যতম বিষয়।