CGO Complex: সিবিআই কুপোকাত মশার কামড়ে, কামান দাগতে পুরনিগমের দ্বারস্থ

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Nov 12, 2022 | 7:06 PM

Dengue: সল্টলেক চত্বরে যে হারে মশার উপদ্রব বাড়ছে, তা নিয়ে চিন্তায় সিবিআই আধিকারিকরাও। অতঃপর কামান দাগতে বিধাননগর পুরনিগমের দ্বারস্থ সিবিআই।

CGO Complex: সিবিআই কুপোকাত মশার কামড়ে, কামান দাগতে পুরনিগমের দ্বারস্থ

Follow Us

কলকাতা: কথায় বলে বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা, আর পুলিশে ছুঁলে ছত্রিশ ঘা। সিবিআই ছুঁলে কত ঘা, তা-ই নাকি এখন আলোচনার বিষয় রাজ্য রাজনীতিতে। আর সেই সিবিআই এখন অতিষ্ঠ মশার কামড়ে। আর হবে নাই বা কেন! চারিদিকে মশার যা উৎপাত! নিত্যদিন কোথাও কোথাও ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত বা মৃত্যুর খবর কানে আসছে। তাই ভয় তো হবেই। ডেঙ্গি আতঙ্কে কাঁপছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সল্টলেক চত্বরে যে হারে মশার উপদ্রব বাড়ছে, তা নিয়ে চিন্তায় তাঁরা। অতঃপর কামান দাগতে বিধাননগর পুরনিগমের দ্বারস্থ সিবিআই। সিজিও কমপ্লেক্স (CGO Complex) চত্বরে মশার উৎপাত থেকে বাঁচাতে ‘রক্ষক’ যে পুরনিগমই।

সম্প্রতি বিধাননগর পুরনিগমের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল সিবিআই। সিজিও কমপ্লেক্সের প্রথম ও দ্বিতীয় তলে যেখানে সিবিআই অফিস রয়েছে, সেখানে যাতে ফগিং মেশিন দিয়ে মশা তাড়ানোর ধোঁয়া স্প্রে করা হয়, সেই অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লিখেছিল সিবিআই। শুধু সিজিও কমপ্লেক্স চত্বরই নয়, সল্টলেকের অন্যান্য এলাকাতেও যে মশার উৎপাত যথেষ্ট রয়েছে, সেই কথাও উঠে এসেছে পুরনিগমকে পাঠানো সিবিআই-এর ওই চিঠিতে।

পরবর্তী সময়ে সেই চিঠি বিধাননগর পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের টেবিলে গিয়ে পৌঁছায়। চিঠি পেয়েই ব্যবস্থা নেন তিনিও। শনিবার পুরনিগমের কর্মীরা পৌঁছে যান সিজিও কমপ্লেক্সে। মশা তাড়ানোর ধোঁয়া স্প্রে করা হয় গোটা চত্বরে। ছড়ানো হয় ব্লিডিং পাউডার। নিকাশি নালাগুলিতেও স্প্রে করা হয়। সিজিও কমপ্লেক্সের ভিতরে ও বাইরে মশা তাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই করেন বিধাননগর পুরনিগমের কর্মীরা।

এই বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সিবিআই দফতর থেকে সম্প্রতি একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। সেই চিঠি পাওয়ার পর তড়িঘড়ি এদিন সকাল ১০ টা নাগাদ পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা গিয়ে মশা নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে।

ফলে আপাতত কিছুদিন মশার উৎপাত থেকে কিছুটা রেহাই পাবেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। আপাতত মশা নিয়ে মাথাব্যথা খানিক কমল সিবিআই-এর। এবার নিশ্চিন্তে মগজাস্ত্র খাঁটিয়ে বিভিন্ন মামলায় তদন্ত এগোতে পারবেন তাঁরা।

Next Article