কলকাতা: শালিমার স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা-মারপিট ঘিরে রবিবার দুপুরে তপ্ত শালিমার। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, শালিমার স্টেশনের বাইরে পার্কিং জোন কোন গোষ্ঠীর দখলে থাকবে, সেই নিয়েই ঝামেলা শুরু হয় দুই পক্ষের। স্থানীয় সূত্রে খবর, দুই গোষ্ঠীর লোকজনই তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক। দু’পক্ষের সংঘর্ষে ব্যাপক ইটবৃষ্টি এবং তার জেরে একাধিক গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে বলে অভিযোগ। একাধিক গাড়ির উইন্ড শিল্ড ভেঙে পড়ে রয়েছে। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে টোটো, বাইকও ভাঙচুর হয়েছে বলে অভিযোগ। শুধু গাড়ি ভাঙচুরই নয়, এলাকার একাধিক বাড়ির ভিতরেও তাণ্ডবের দৃশ্য ধরা পড়েছে।
রবিবার দুপুরের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে এলাকাবাসীদের মনে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় স্থানীয় থানার পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে স্থানীয় মানুষজনের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় উর্দিধারীদের। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। নামানো হয়েছে র্যাফ। গোটা এলাকাজুড়ে চলছে পুলিশি টহল। শালিমার স্টেশন চত্বর ঘিরে রেখেছেন আরপিএফ কর্মীরা। শেষ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই সংঘর্ষের ঘটনায় ইতিমধ্যেই সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর ঝামেলা-মারপিটে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় শালিমার স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ও র্যাফ কোনওক্রমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও, এলাকাবাসীদের মনে এখনও রয়ে গিয়েছে চাপা ক্ষোভ।
যদিও তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল সমর্থকদের গোষ্ঠী সংঘর্ষের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। উল্টে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই স্থানীয় মানুষের উপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। তৃণমূলের দক্ষিণ হাওড়া সভাপতি সৈকত চৌধুরী বলেন, ‘পার্কিংয়ের ওখানে টোটোচালকের সঙ্গে একজন ট্যাক্সি চালকের কথা কাটাকাটি হয়েছিল। একটু হাতাহাতিও হয়েছিল। স্থানীয় মানুষজনই সেটা থামিয়েছিলেন। আজ সকালে বিজেপি আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতী সেখানে হামলা চালিয়েছিল। তারপর স্থানীয় মানুষজনই এর প্রতিবাদ করে এবং রুখে দাঁড়ায়। প্রশাসন গোটা বিষয়টি দেখছে।’