কলকাতা: এলাকায় প্রকাশ্যে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। চেতলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুরনো বিবাদকে কেন্দ্র করে ঝামেলা হয়েছে। বিশ্বজিৎ চৌধুরী নামে এক ব্যক্তিকে রাস্তায় ফেলে পেটানো হয় বলে অভিযোগ। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে একাদশীর দিন সকালে। বুধবার সকালে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে।
তবে পুলিশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে পরিবার। পরিবারে অভিযোগ, ঘটনার দিন মারধরের ঘটনার খবর পেয়ে চেতলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও আহত অবস্থায় বিশ্বজিৎকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন পরিবারের সদস্যরাই। পুলিশ এক্ষেত্রে কোনও ভূমিকা নেয়নি। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সৌরভ দাস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একাদশী অর্থাৎ গত বৃহস্পতিবার সকালে চেতলা একটি অশান্তি হয়। সেখানে পুরনো কোনও একটি ইস্যুকে কেন্দ্র করেই দু’পক্ষের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। বিশ্বজিৎ এলাকারই ছেলে। তিনি ওই অশান্তির মধ্যে জড়িয়ে পড়েন। তাঁর ওপর চড়াও হন বেশ কয়েকজন। তাঁকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
শরীরের একাধিক জায়গায় গুরুতর চোট লাগে তাঁর। স্থানীয় বাসিন্দাদের মারফত খবর পান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে যতক্ষণে তাঁরা পৌঁছন, বিশ্বজিতের অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে। পরিবারের দাবি, তাঁরাই বিশ্বজিতকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। পাঁচ-ছ’দিন চিকিৎসার পর বুধবার মৃত্যু হয় বিশ্বজিতের। সূত্রের খবর, শেষের দিকে চিকিৎসায় সাড়া দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। তাঁর অঙ্গ প্রত্যঙ্গও কাজ করা বন্ধ করে দেয়। বুধবার এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় বিশ্বজিতের।
চেতলা থানায় পিটিয়ে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশের দাবি, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে মামলা রুজু করে মূল অভিযুক্ত সৌরভ দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সৌরভের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।