কলকাতা: শনিবারই রাজ্যে চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ভোটে গরম বাংলায় এখন সব রাজনৈতিক দলের নজর শান্তিপুর, দিনহাটা, গোসাবা এবং খড়দহ – এই চার কেন্দ্রে। আর নির্বাচনের আগে বুধবার বিকেল পাঁচটায় চার জেলার জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচন অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব-সহ অন্য পদস্থ আধিকারিকরা।
চার কেন্দ্রের ভোট প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তের হালহকিকত খতিয়ে দেখতেই এই বৈঠকে বসেন তাঁরা। বৈঠকে জেলাশাসক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক-সহ অন্য আধিকারিকরাও।
সীমান্ত সিল করা থেকে শুরু করে, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যে সব অভিযোগ জমা পড়েছে, সে গুলিতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেই সব বিষয়গুলি নিয়ে আজ আলোচনা হয় বৈঠকে। এর পাশাপাশি এলাকায় বহিরাগতদের উপস্থিতি এবং বিরোধীদের হুমকি সহ যে সব অভিযোগ জমা পড়েছে, সেসবের যাতে আর পুনরাবৃত্তি না হয়, তাও দেখতে জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচন অফিসার সহ জেলার পদস্থ আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।
একইসঙ্গে, ভোটের দিন নির্বাচন প্রক্রিয়া সংক্রান্ত রিপোর্টগুলি যেন সময় মতো কমিশন এবং রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সহ প্রয়োজনীয় জায়গায় জমা পড়ে, তাও দেখতে হবে চার কেন্দ্রের জেলা নির্বাচন অফিসার সহ বৈঠকে উপস্থিত পদস্থ আধিকারিকদের। আজকের বৈঠকে এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যাতে কোনও খামতি না থাকে, অভিযোগ জমা পড়লেই যেন তার সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে বুধবারের ভিডিয়ো কনফারেন্সে।
জানা গিয়েছে, এই চার কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ৮০ কম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সবথেকে বেশি বাহিনী মোতায়েন করা হবে দিনহাটায়। ২৪ কম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে দিনহাটার ৪১৭ টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে। এর পাশাপাশি শান্তিপুরে মোতায়েন হচ্ছে ১৯ কম্পানি বাহিনী, খড়দায় মোতায়েন করা হচ্ছে ১৭ কম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং গোসাবায় মোতায়েন করা হচ্ছে ২০ কম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। অর্থাৎ, বোঝাই যাচ্ছে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও খামতি রাখতে চাইছে না কমিশন।
এখন রাজ্যে যখন একের পর এক নির্বাচন পরবর্তী হিংসার যে অভিযোগ উঠছে, তৃণমূল হোক বা বিজেপি, উভয়েই উভয়ের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে। তার উপর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টেও ভোট পরবর্তী হিংসার যে কথা বলা হয়েছে, তাতে এবারের নির্বাচনে আরও সতর্ক থাকতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এই পরিস্থিতিতে আজ সংশ্লিষ্ট জেলা শাসকদের সঙ্গে এই ভার্চুয়াল বৈঠক যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন : RG Kar Scam: কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস! TV9 বাংলার খবরের জেরে তড়িঘড়ি তদন্ত কমিটি গঠন আরজি করে