কলকাতা: দলীয় কর্মীরা ‘ভুল’ করে থাকলে তাঁর দায় নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন। চেয়েছিলেন ক্ষমাও। পাশাপাশি ‘দুষ্টু’ কর্মীদের শোধরাতে প্রকাশ্য সভা খেকেই দিয়েছিলেন চড় মারার নিদান। যা নিয়ে বিস্তর চর্চাও হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। এবার ভোটের ফল প্রকাশের পর সেই তৃণমূল (Trinamool Congress) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) বললেন, “আমার যদি সত্যিই কোনও অপরাধ থাকে, যে শাস্তি মানুষ আমাকে দেবে, মাথা পেতে নেব।” যদিও তাঁর দাবি, মোটের উপর ‘শান্তিপূর্ণই’ হয়েছে পঞ্চায়েত ভোট। তবে তাঁর মুখেই আবার শোনা গিয়েছে ভোট হিংসায় ১৯ মৃত্যুর কথা।
এদিকে ভোট ঘোষণার শুরু থেকে ফল প্রকাশ, বেনজির হিংসার সাক্ষী থেকে গোটা বাংলা। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। কোথাও মনোয়নন জমা দিতে বাধা, কোথাও দেদার বোমাবাজি এসব তো ছিলই এরইমধ্যে ভোট শুরু হতেই শুধু শনিবার গোটা রাজ্যে পড়েছে প্রায় ২০ লাশ। যাতে রয়েছে শাসকদলের কর্মীরাও। অসমর্থিত সূত্রে খবর এমনটাই। ভোট ঘোষণা থেকে এখনও পর্যন্ত ৩৫ দিনে রাজ্যে রাজনৈতিক হানাহানিতে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৫০ জনের। যদিও এই তথ্য এখনই মানতে নারাজ নির্বাচন কমিশন। তাঁদের তালিকাতেও মৃতের সংখ্যা বাড়লেও বারেবারেই বলতে শোনা গিয়েছে ‘খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।’ কিন্তু, এই রক্তস্নান কবে থামবে সেই খোঁজ করছে বাংলার মানুষ। বুধবার রাতেও বেনজির হিংসার ছবি দেখা গিয়েছে ভাঙড়ে। মৃত্যু হয়েছে দুই আইএসএফ কর্মী-সমর্থকের। মৃত্যু হয়েছে এক গ্রামবাসীরও।
যদিও সমস্ত মৃত্যুর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন মমতা। তিনি বলেন, “আমি সমব্যথী। যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারের জন্য আমি সমবেদনা জানাই।” একইসঙ্গে এসব কাজের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁদের ধরতে পুলিশকে ফ্রি হ্যান্ডও দিয়েছেন তিনি। সঙ্গে মৃতদের পরিবারের জন্য ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন। একই সঙ্গে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের হোম গার্ডের চাকরি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। তবে তাঁর দাবি, যে জায়গাগুলিতে এই সমস্ত ঘটনা ঘটেছে সেগুলিতে ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরেই ঝামেলা হয়। এদিন তিনি এও বলেন, “৭১ হাজার বুথে ভোট হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে বড়জোড় ৬০টি বুথে।”