কলকাতা: পাহাড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার এক সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মমতা বলেন, বৃহস্পতিবারের পর থেকে পাহাড়ের সঙ্গে তাঁর রক্তের সম্পর্ক তৈরি হল। এরপরই পাহাড়ের উন্নয়নে একের পর এক ঘোষণা শোনা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, পাহাড়ের সঙ্গে এই ‘রক্তের সম্পর্ক’ই কি আগামী লোকসভা ভোটে তুরুপের তাস হতে চলেছে তৃণমূলের? কারণ, এর আগে যতবার উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন, জনসংযোগের কথা শোনা গিয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোর গলায়। কিন্তু শুক্রবার বারবার তিনি বলেছেন রক্তের সম্পর্কের কথা।
বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিয়ে ছিল। পাহাড়ি কন্যা দীক্ষার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন আবেশ। কলকাতা থেকে পরিবারের প্রায় সকলেই গিয়েছিলেন সেখানে। আবেশ-দীক্ষা দু’জনেই চিকিৎসক বলে জানিয়েছেন মমতা নিজেই।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পাহাড়ের সঙ্গে আমার রক্তের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। জিটিএকে তাই আরও ৭৫ কোটি টাকা দিচ্ছি।” একইসঙ্গে মমতা এদিন বিপুল শিক্ষক নিয়োগের কথাও বলেন। দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের জন্য আলাদা স্কুল সার্ভিস কমিশনেরও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। আলাদা স্কুল বোর্ডও ঘোষণা হবে বলে জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, রিজিওনাল স্কিম সার্ভিস কমিশন ফর হিলস হচ্ছে। তাতে পাহাড়ে ১৪৬ টি উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগ করা হবে। ৫৯০টি শিক্ষক-শূন্যপদ রয়েছে। তা পূরণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, নর্দার্ন রিজিওনের আওতায় আসত না পাহাড়। ফলে সেখানে রাজ্যের মতো একই নিয়মে শিক্ষক নিয়োগ হত না। সেখানে শিক্ষক নিয়োগ হত ভিন্ন নিয়মে। অনেক সময় ভলান্টিয়ারি বেসিসেও নিয়োগ করা হত। রিজিওনাল সার্ভিস কমিশন অব হিলস গঠনের অর্থ, এবার রাজ্যের নিয়মেই সেখানে শিক্ষক নিয়োগ হবে। উচ্চ প্রাথমিকের ক্ষেত্রে যে ৫৯০ শূন্যপদের কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী, তা যোগ হবে। যদিও বর্তমান নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।