কলকাতা: টানা বৃষ্টি। বিভিন্ন জায়গায় জমেছে জল। আবার কোথাও বাড়ি ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পরিস্থিতি নিয়ে রবিবার জরুরি বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন। জলমগ্ন এলাকাগুলিতে ত্রাণ বিলির নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। ডিভিসি জল ছাড়ায় জেলাশাসকদের বাড়তি নজর রাখতে বললেন। এছাড়াও একাধিক নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব।
দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় টানা বৃষ্টি হচ্ছে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম, দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক এলাকা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার এবং কাকদ্বীপ মহকুমার নিচু এলাকাগুলো জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। জল জমেছে ধান জমি এবং সবজির বাগানেও। গত দুদিনের দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নামখানা ব্লক। ঝড়ের দাপটে একের পর এক কাঁচা বাড়ি ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি ছাউনি উড়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাঁচা বাড়ি এবং দোকান। আবার হুগলিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক কিশোরের।
এদিন বিকেল ৫টা জেলাশাসকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। সেখানে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিকে তিনি সতর্ক করলেন। ২৬ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়ছে ডিভিসি। এর জেরে কোথাও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে কি না, সেদিকে নজর রাখতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব।
জলমগ্ন এলাকাগুলিতে ত্রাণ বিলির নির্দেশ দিয়েছেন মনোজ পন্থ। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ৫ হাজার ত্রিপল বিলি করা হয়েছে। বৃষ্টির জেরে যে বাড়িগুলি ভেঙে পড়েছে, তাদের অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব। পাশাপাশি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য জেলাশাসকদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। যেখানে জল জমছে, সেখানে পাম্প ব্যবহার করে জল বের করার নির্দেশ দিলেন। কোন কোন এলাকায় জল বাড়ছে, তা নিয়ে প্রতিনিয়ত নবান্নকে রিপোর্ট দিতে হবে।