কলকাতা: চিটফান্ড মামলায় সুবোধ অধিকারীকে বুধবার দ্বিতীয়বার নোটিস পাঠাল সিবিআই। আবার হাজিরা এড়ালেন তিনি। বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ ২০১২ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত দেশে-বিদেশে কোথায় কোথায় গেছেন তা জানতে বাস-ট্রেন-বিমানের টিকিট, কোন কোন হোটেলে থেকেছেন, তার রশিদ পেতে চান তদন্তকারীরা। নথি চেয়ে সশরীরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল সুবোধ অধিকারীকে। কিন্তু বুধবার হাজিরা এড়ালেন তিনি। এদিন সুবোধ অধিকারীর আইনজীবী প্রসেনজিৎ নাগ ও প্রদীপ কর এসেছিলেন সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে। মূলত আইনজীবী মারফত ১৫ দিনের সময় চেয়েছেন তিনি। এই সমস্ত নথি জোগাড় করতে সময় লাগবে, সেই কারণেই তিনি সময় চেয়েছেন।
দুর্নীতি তদন্তে সিবিআই স্ক্যানারে বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী। গত রবিবারই দিনভর দফায় দফায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। সুবোধ অধিকারীর বাড়ি, দক্ষিণদাঁড়ি, পাইকপাড়ার ফ্ল্যাটে তল্লাশির পর সুবোধ অধিকারীর আপ্তসহায়ক ও দুই নিরাপত্তারক্ষীকে সিজিও কমপ্লেক্স নিয়ে আসে সিবিআই।
বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতে বেরিয়ে যান দুই নিরাপত্তারক্ষী। কিন্তু সন্ধ্যা থেকে প্রায় সতেরো ঘণ্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সুবোধ অধিকারীর আপ্তসহায়ককে। প্রথমে চিটফান্ড মামলায় হালিশহরের চেয়ারম্যান রাজু শাহানির বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরা। তারপর রাজু সাহানি ঘনিষ্ঠ সুবোধ অধিকারীর বাড়িতে তল্লাশি চলে। সূত্রের খবর, রাজু সাহানি গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর কাছ থেকে যে সব নথি বাজেয়াপ্ত হয়েছে, সেখান থেকেই সুবোধের নাম উঠে এসেছে। আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেশ করার সময় সুবোধ যে হিসেব দিয়েছিলেন তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৫-১৬ থেকে ২০২১ পর্যন্ত বছরে তাঁর গড় আয় ৫-৬ লক্ষ টাকা। চিটফান্ড মামলার তদন্তে শিকড়ের খোঁজে গোয়েন্দারা। হালিশহরের জেঠিয়াতেও তল্লাশি সিবিআই-এর।