কলকাতা : ভুয়ো নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় সিআইডি (CID) তদন্তে একের পর এক তথ্য উঠে এসেছে ইতিমধ্যেই। যে বছর কোনও নিয়োগ প্রক্রিয়াই হয়নি, সেই বছরেই চাকরি পেয়ে গেলেন একজন! সরকারি পে রোলেও উঠে গেল নাম। অনিমেষ তিওয়ারি নামে এক শিক্ষকের (Teacher) চাকরি ঘিরে এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। মুর্শিদাবাদের গোথা এআর স্কুলে শিক্ষকের ভুয়ো নিয়োগের তদন্তে এবার ওই ডিআই অফিসের প্রত্যেক কর্মীকে তলব করল সিআইডি। সোমবার ভবানী ভবনে তলব করা হয়েছে কর্মীদের। ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে নোটিস।
অনিমেষের চাকরি নিয়ে অভিযোগের তদন্তভার সিআইডি-র হাতে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। গত তিন বছর ধরে ওই স্কুলে শিক্ষকতা করছেন অনিমেষ। তিনি আবার ওই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক অসিত তিওয়ারির ছেলে। ভুয়ো সুপারিশপত্র ও ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে অনিমেষের বিরুদ্ধে।
আরটিআই থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমা রায় নামে এক চাকরিপ্রার্থী অনিমেষের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন হাইকোর্টে। এমন অভিযোগ শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনিই সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন। ডিআই-এর ভূমিকা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি। তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, ডিআই না জানলে কীভাবে এমন হতে পারে? বিচারপতির আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ডিআই জড়িত থাকতে পারেন। ডিআই সন্দেহের বাইরে নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ইতিমধ্যেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে আদালতে জানানো হয়েছে, মেধাতালিকাতেই নাম ছিল না অনিমেষের। কোনও সুপারিশও হয়নি তাঁর নামে। আসলে আতাউর রহমানের নামে সুপারিশ করা হয়েছিল বলে দাবি পর্ষদের। শুধু তাই নয়, অরবিন্দ মাইতি নামে আর এক চাকরি প্রার্থীর নিয়োগপত্র নকল করে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ অনিমেষ তিওয়ারির বিরুদ্ধে।