Selim Attacks Mamata: ‘মমতা আরএসএসের দুর্গা রোল প্লে করছেন’, তোপ সেলিমের
Selim Attacks Mamata: “আরএসএস এত খারাপ ছিল না। এত খারাপ বলে আমি বিশ্বাস করি না।” একদিন আগে এ কথা বলেছিলেন মমতা। এবার আরএসএস-মমতা সম্পর্ক নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলে দিলেন সেলিম।
কলকাতা: এখনও বাকি এক মাস। তাঁর আগেই উৎসবের ঢাকে পড়েছে কাঠি। দুর্গাপুজোকে ‘ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’র তালিকায় স্থান দিয়েছে ইউনেস্কো (UNESCO)। সে কারণেই এবার ১ মাস থেকে মমতার (CM Mamata Banerjee) ডাকে উৎসবে মেতেছে বাংলা। ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার পথে নামল কলকাতা-সহ গোটা বাংলা। তা নিয়ে এবার কটাক্ষবাণ শানাতে দেখা গেল বাম নেতা মহম্মদ সেলিমকে (MD. Selim)। একইসঙ্গে ‘মমতা-আরএসএস’ (RSS-Mamata relationship) সম্পর্ক নিয়ো তুলোধনা করলেন তিনি।
“আরএসএস এত খারাপ ছিল না। এত খারাপ বলে আমি বিশ্বাস করি না।” একদিন আগে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে গিয়ে আরএসএসের সম্পর্কে এ কথা বলতে শোনা গিয়েছিল মমতাকে। মমতা বলেন, “আরএসএস এত খারাপ ছিল না। এত খারাপ বলে আমি বিশ্বাস করি না। এখনও ওদের মধ্যে কিছু ভদ্রলোক আছে যারা বিজেপিকে ওভাবে সমর্থন করে না। তারাও একদিন বাঁধ ভাঙবে।” এদিন ফের মমতা-আরএসএস প্রসঙ্গ তুলে তীব্র আক্রমণ শানালেন সেলিম। “আরএসএস তাঁকে দুর্গা বলে দিয়েছিল। আর তিনি আরএসএসের দুর্গা রোল প্লে করছেন।” এ ভাষাতেই এদিন কাটক্ষ করতে দেখা গেল সেলিমকে। একইসঙ্গে মমতার এই উদ্যোগে আদপে “সংকীর্ণ রাজনীতির স্বার্থে, দুর্গা ঠাকুরের জন্য নয়” বলেও তোপ দেগেছেন সেলিম।
একইসঙ্গে দুর্গাপুজোর নিজস্বতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সেলিম বলেন, “প্রতিটা ব্লকের একটা নিজস্বতা আছে। যে দুর্গাপুজো মডেল ছিল স্বনির্ভর, স্বকীয়, স্বতন্ত্র। আজকে আরএসএস গোটা ধর্মটাকে রাজনীতির মিশ্রন করে একটা টানেলের মধ্যে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। মমতাও তাই করছেন। যেখানে শত ফুল বিকশিত নয়, সব ফুল এসে তাঁর পায়ে পড়ুক। আরএসএস তাঁকে বলে দিয়েছিল দুর্গা তিনি। আর তিনি আরএসএসের দুর্গা রোল প্লে করছেন। সরকারি ছুটি দিয়ে, স্কুলগুলিকে দিয়ে, কর্পোরেশনকে দিয়ে সবাইকে জড়ো করতে হবে। কারণ ইস্যুটাকে পাল্টাতে হবে।”
একই সঙ্গে পার্থ-অনুব্রত-দুর্নীতি ইস্যুতে সুর চড়িয়ে সেলিম আরও বলেন, “লোকে টাকার পাহাড় দেখছে। প্রতিদিন অনুব্রত-পার্থর, তৃণমূলের নেতাদের, তাঁর নিজের পরিবারের সদস্যদের সমস্ত ফিরিস্তি বের হচ্ছে সংবাদে। সেখান থেকে তিনি দৃষ্টিটাকে সরিয়ে দিয়ে উৎসবে মাতিয়ে দিচ্ছেন। মদ দাও, ফূর্তি করো, সার্কাস করো। মানুষ ক্ষুধার্থ থাকুক, জিনিপত্রের দাম বাড়ুক, কর্মহীন থাকুক, অন্নহীন থাকুক, তার থেকে দৃষ্টিটা সরিয়ে দাও। এই যে বৈভব, এই যে আড়ম্বর এটা তো সংকীর্ণ রাজনীতির স্বার্থে। দুর্গা ঠাকুরের জন্য নয়। মানুষ এটা বুঝছেন। প্রতিবাদে নামছেন। আরও নামবেন।”