KMC: কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কলকাতা পুরনিগমে প্রবেশ নিষিদ্ধ, শনিবারের ঝামেলার পরই বিজ্ঞপ্তি জারি

Sayanta Bhattacharya | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 19, 2023 | 5:32 PM

BJP: শনিবার বিজেপি কর্মীর বাড়ির একাংশ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলার অভিযোগ ওঠে কলকাতা কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে। আর সেই অভিযোগকে সামনে রেখে শনিবার পুরনিগমের কাউন্সিলর্স ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন শুরু করেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ।

KMC: কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কলকাতা পুরনিগমে প্রবেশ নিষিদ্ধ, শনিবারের ঝামেলার পরই বিজ্ঞপ্তি জারি
পুরনিগমে ঝামেলা।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কলকাতা পুরনিগমে আর প্রবেশ করা যাবে না। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পুরনিগমের বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। শনিবার এমনই নির্দেশিকা জারি করলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, কলকাতা পুরনিগমে কাউন্সিলর ক্লাব রুমেও কোনও বহিরাগত এসে আর বসতে পারবেন না। যদি কোনও কাউন্সিলর বহিরাগত কাউকে ডাকেন, তাহলে সেক্ষেত্রে স্লিপ লিখে ঢুকতে হবে। তা তিনি শাসকদলের কাউন্সিলর হোন বা বিরোধীদের। অধিবেশনের দিন বহিরাগত প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হল কলকাতা পুরনিগমে। কলকাতা পুরনিগম ঐতিহ্যবাহী ভবন। ছোট লালবাড়ি বলা হয়। সেখানে রাজনীতির কারবারিদের এমন চেহারা উঠে আসায়, পুরনাগরিকরা হতবাক।

শনিবার বিজেপি কর্মীর বাড়ির একাংশ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলার অভিযোগ ওঠে কলকাতা কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে। আর সেই অভিযোগকে সামনে রেখে শনিবার পুরনিগমের কাউন্সিলর্স ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন শুরু করেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। সেখানে ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ, বিজেপি নেতা সুনীল সিংরা। এরই তীব্র বিরোধিতা করে তৃণমূল। কেন বাইরের লোক এসে পুরনিগমে বসে সাংবাদিক সম্মেলন করছেন তা নিয়েই ঝামেলা শুরু।

বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ, মীনাদেবী পুরোহিত, বিজয় ওঝার সঙ্গে বচসা ক্রমেই বাড়াবাড়ি পর্যায়ে যায়। শুরু হয় হাতাহাতি। তৃণমূল কাউন্সিলরদের অভিযোগ, সেখানে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে থাকা ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী তৃণমূল কাউন্সিলরদের গায়ে হাত তুলেছে। পাল্টা বিজেপি কাউন্সিলররা দাবি করেন, তৃণমূলের কর্মীরাই তাঁদের গায়ে হাত তুলেছেন। এই নিয়ে তুমুল বচসা শুরু হয়। তৃণমূল কাউন্সিলর সাধনা বসু দাবি করেন, তাঁর গায়ে হাত তোলা হয়। পাল্টা বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত দাবি করেন, তাঁর গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল ও বিজেপি দুই পক্ষই অভিযোগ জানায়।

Next Article