কলকাতা : বেহালায় সংঘর্ষে আঁচ এখনও টাটকা। আর এরই মধ্যে ফের একপ্রস্থ তুলকালাম খাস কলকাতায়। ঘটনাটি ঘটেছে লেক গার্ডেন্স এলাকায়। জানা গিয়েছে সিন্ডিকেটকে কেন্দ্র করেই এই ঝামেলার সূত্রপাত। সিন্ডিকেটের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বাঁশ, লাঠি এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে দুই গোষ্ঠী। হামলায় কারও মাথা ফাটল, কারও ভাঙল হাত। গতকাল রাতেও একপ্রস্থ সংঘর্ষ হয়েছিল তারপর আজ আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে সিন্ডিকেটের দুই গোষ্ঠী। আর এই গোটা ঘটনাটি ঘটেছে তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়ের বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে।
সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় একটি বাড়ি ভাঙাকে কেন্দ্র করে। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বাড়ির থেকে দুটি বাড়ি পড়েই এই বাড়িটি। ওই বাড়িটি ভেঙে সেখানে আবার নতুন করে একটি বিল্ডিং তৈরি হওয়ার কথা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই প্রোমোটিং-এর সিন্ডিকেট নিয়েই দুই পক্ষের ঝামেলা। জানা গিয়েছে, যারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল, তারা এলাকারই দুটি স্থানীয় ক্লাবের সদস্য। ঘটনায় রীতিমতো রণক্ষেত্রের আকার নেয় লেক গার্ডেন্স এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে লেক থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে আসে এবং মারমুখী দুই পক্ষকে সেখান থেকে হঠিয়ে দেয়। ঘটনা বেশ কয়েকজন জখম হয়েছে এবং তারা বর্তমানে কেউ সরকারি, কেউ বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। যে বাড়িটি ভাঙাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ সেই বাড়িটির সামনেও পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
বিষয়টি সিন্ডিকেটের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই হলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ বলছেন, এটি আসলে তৃণমূলেরই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, “সকাল ১১টা-সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় বেশ কয়েকজন জখম হয়েছে। এরা সবাই পাড়ারই ছেলে।” ঘটনার জেরে যে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন সাংসদ সৌগত রায়ও। তিনি বলেন,”আমি ওসিকে বলেছি। বাড়ি ভাঙাটাই বন্ধ করে দেওয়া হোক। সব বাড়ি ভাঙাই পুলিশের নিয়ন্ত্রণে হওয়া উচিত। নাহলে এই ধরনের গন্ডগোল হবে। সাধারণ মানুষ ভয়ে পেয়ে গিয়েছেন। এই এলাকায় অনেক বয়স্ক লোক রয়েছেন। তার সবাই আতঙ্কিত হয়ে গিয়েছে। রাস্তায় ছেলেরা পড়ে রয়েছে। রক্ত ঝরছে।”