কলকাতা: পুলিশ লাইনের পুজো উদ্বোধনে গিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেক ভিডিয়ো, সাইবার ক্রাইম নিয়ে কার্যত রুষ্ট তিনি। আর তাই পুজোর আগে রাজ্যের মহিলাদের কাঁধে তুলে দিলেন ‘গুরু’ দায়িত্ব। শুধু তাই নয়, যে সকল মেয়েরা এই দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবেন, তাঁদের জন্য পুরস্কার ঘোষণার পাশাপাশি, চাকরির দেওয়ারও ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
কী কাজ করতে হবে মহিলাদের?
এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি রাজ্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশকে বলছি যে মেয়েরা প্রথমে অপরাধ সনাক্ত করতে পারবে, নকল ভিডিয়োগুলিতে ফেক লিখে পুলিশের কাছে পাঠাবে ফাস্ট, তাঁদের জন্য একশোটি পুরস্কার থাকবে। এবং তাঁরা চাকরিও পাবে দরকার হলে। সব কিছু সবার দ্বারা হয় না। এই কাজটা মেয়েরাই পারবে।”
এ দিন পুজো উদ্বোধনে গিয়ে শুরু থেকেই সাইবার ক্রাইমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মমতা। প্রসঙ্গ তোলেন এআই টেকনোলজির। বলেন, “আজকের দিনে এআই বেরিয়েছে। আমার ছবি দেখবেন, আমার শরীর দেখবেন, আমার বক্তৃতা শুনবেন কিন্তু ওইটা আমি নই। ফেক। এটাই এআই। এখন সাইবার ক্রাইম বেশি হচ্ছে। আর সাইবার ক্রাইম করে তারাই এদের বেশি মদত দিয়ে চলে।”
এরপর বলেন, “যখনই এই সব উল্টোপাল্টা ভিডিয়ো দেখবেন,মেয়েদের দায়িত্ব দিচ্ছি। কারণ ছেলেরা টাইম পায় না। ওই ছবিটার উপরে ফেক লিখুন আগে। ফেসবুক হোক বা টুইটার। তারপর পুলিশকে পাঠিয়ে দিন। আপনারাই পারেন। মহিলারা জোট বাঁধুন তো….।”
প্রসঙ্গত, বরাবরই নারী ক্ষমতায়ানে জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী। মেয়েদের উদ্দেশ্যে একাধিক প্রকল্পও রয়েছে। এবারও পুজোর আগে দেখা গেল তেমনই রাজ্যের মহিলাদের উপর দায়িত্ব তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে রাজনীতিবিদদের একাংশের বক্তব্য, রাজ্যে একের পর এক নারী নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছে। ক্ষুব্ধ হয়ে পথে নামতে দেখা গিয়েছে মহিলাদের। রাত দখল-ভোর দখল থেকে শুরু করে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন সাধারণ মহিলারা। তবে কি তৃণমূল থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন তাঁরা? তাই কি মহিলাদের মন জয়ে কি এই চেষ্টা মুখ্যমন্ত্রীর?